কক্সবাজার বেড়াতে যাওয়ার পথে লোহাগাড়ায় ট্রাক ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচ বন্ধু নিহতের ঘটনায় ঘাতক ট্রাক চালক মো. রিপনকে আটক করেছে র্যাব-৭।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুর সাড়ে তিনটায় ডবলমুরিং থানার রশিদ বিল্ডিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
আটক মো .রিপন (৩১) ভোলা জেলার লালমোহন থানার মহেশখালী এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে।
নিহতরা হলেন- হারুনুর রশিদ হীরণ (২৬), খোরশেদ আলী সাদ্দাম (৩১), রিজভী শাকিব (২৬), মনছুর আলী (২৩) ও মু. হুমায়ুন (২৫)।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ২১ মার্চ ভোরে প্রাইভেট কারে করে পাঁচ বন্ধু চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার ঘুরতে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে প্রাইভেট কারটি লোহাগাড়া থানার আধুনগর এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতির একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান চারজন। গুরুতর আহত অবস্থায় আরেকজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পথে তিনিও মারা যান।
এদিকে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, লোহাগাড়া আধুনগর এলাকায় প্রাইভেট কার ও বেপরোয়া গতির ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় ঘাতক ট্রাক চালক রিপনকে ডবলমুরিং থানার রশিদ বিল্ডিং এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তার ডান পাতে সমস্যা থাকায় শুধু হালকা যানবাহন চালানোর অনুমতি ছিল। কিন্তু সে দীর্ঘদিন ধরে ভারী যানবাহন চালিয়ে আসছিল।
তিনি আরও বলেন, রিপন গত সোমবার পেকুয়া মেরিন ড্রাইভ ও চার লেইন সড়ক নির্মাণের জন্য পাথর আনলোড করে ফিরছিলেন। ট্রাকটি আধুনগর এলাকায় পৌঁছলে কক্সবাজারমুখী প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দিলে গাড়িটি থেমে যায়। পরে ট্রাক চালক রিপনের ডান পাতে সমস্যা থাকায় তিনি ব্রেক করতে না পারেননি। এ কারণে ট্রাকটি প্রাইভেট কারের ওপর উঠে যায়। এতে পাঁচজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে রিপনকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।