ইমরান আল মাহমুদ:
কক্সবাজারের টেকনাফের লেদা থেকে পুতিয়া বাহিনীর অন্যতম দুজন সদস্যকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫ সদস্যরা। গ্রেফতারকৃতরা হলেন হ্নীলা পূর্ব সিকদার পাড়ার মৃত ইদ্রিসের ছেলে মো.রমিজ (২৭) ও নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের মৃত জহিরের ছেলে মো. শফিক(৩০)।
বুধবার(২ মার্চ) সকালে র্যাব-১৫ সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অধিনায়ক লে. কর্ণেল খায়রুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন,”টেকনাফের হ্নীলা এবং মুচনী এলাকায় পুতিয়া ডাকাত গ্রুপ এক আতঙ্কের নাম। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা খুন, গুম, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন ঘৃণ্য অপরাধ সংঘটিত করে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই ডাকাত গ্রুপের সদস্যদের ধরতে উল্লেখিত এলাকায় র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার(২ মার্চ) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ জানতে পারে যে, টেকনাফের লেদা বাজারের নিকটবর্তী সোলার প্যানেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপরীত পাশে কিছু লোকের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ করা যাচ্ছে। সংবাদটি পাওয়ার পর র্যাব-১৫ রাত্রিকালীন পেট্রোল এবং আভিযানিক দল উক্ত এলাকা ঘেরাও করার চেষ্টা করে। ঐ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কতিপয় ব্যক্তিগণ বস্তাসহ পালানোর চেষ্টা করে। একপর্যায় রাত ২টার পর
উল্লেখিত স্থান থেকে র্যাবের আভিযানিক দল দুজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও বলেন,”গ্রেফতার রমিজ ও শফির দেহ ও বস্তা তল্লাশি করে ৬টি একনলা বন্দুক, ১টি থ্রিকোয়ার্টারগান, ১টি ওয়ানশুটারগান, ১৮রাউন্ড তাজা গুলি/কার্তুজ, ১টিছোরা,১টি লোহার শিকল, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একই রং এর ৫টি-শার্ট ও ২টি নেমপ্লেট উদ্ধার করা হয়। জব্দকৃত অস্ত্রের উৎস এবং উক্ত স্থানে তাদের সংঘবদ্ধ হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে গ্রেফতারকৃতরা আরও জানায়, তারা পুতিয়া ডাকাত গ্রুপের সদস্য।
এদিকে,গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এ চক্রের অন্যতম সহযোগী খায়রুল আমিনকে বিপুল পরিমান অস্ত্র-গোলাবারুদসহ র্যাব-১৫ গ্রেফতার হওয়ায় তারা আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে তাদের নিকট রক্ষিত অস্ত্রগুলো গোপন স্থানে লুকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে উক্ত স্থানে সমবেত হয়েছে বলে জানান র্যাব-১৫ অধিনায়ক।