সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

টেকনাফের আলোচিত ভুট্টাে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শুক্রবার, ২০ মে, ২০২২

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::

বৃহস্পতিবার ১৯ মে দুপুরে আলোচিত ভুট্টাে হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।মানববন্ধনে এলাকার নারীসহ শতশত জনতা অংশ নেয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ভুট্টো হত্যার মূল আসামী মৌলভীপাড়ার শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার একরামসহ তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার পূর্বক দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরের দাবি জানান।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে ভুট্টোর মা আবেদা খাতুন(৬৫)বলেন,আমার ছেলে সন্ত্রাসীদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে মসজিদে ঢুকেও রেহাই পাননি।একরাম বাহিনী মসজিদ থেকে বের করে এনে আমার ছেলের পা কেটে নেয়।তার উপর অমানুষিক হামলা চালায়।আমি সরকারে কাছে আমার ছেলের হত্যাকারীদের দ্রুত শাস্তি চাই।

৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এনামুল হক বলেন,নুরুল হক ভুট্টো হত্যার মূলহোতা মৌলভীপাড়া এলাকার একরাম তার আধিপত্য বিস্তার করতে সন্ত্রাসী বাহিনী লালন করে পুরো এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। তারা ভুট্টোর পা কেটে তাকে হত্যা করেছে, এখনো তার কাটা পা টি উদ্ধার হয়নি। সন্ত্রাসী একরাম দিনদিন এলাকায় আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে।

প্রশাসনের কাছে হাতজোড় করে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করবো, আর কোন নিরীহ ব্যক্তিকে যেন ভুট্টোর মতো পরিণতি ভোগ করতে না হয়, সেজন্য একরাম বাহিনীর প্রধান একরামকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার বিকল্প নেই।

গত ১৫মে রোববার কক্সবাজারের টেকনাফে নুরুল হক ওরফে ভুট্টো (৩৫) কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ওইদিন সন্ধ্যায় টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভিপাড়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন এই হামলা চালায়।
নিহত নুরুল হক টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়ার এজাহার মিয়ার ছেলে। দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার ডান পা বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি দুই হাতে এলোপাতারি কুপিয়েছিলেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত পৌনে নয়টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার টেকনাফ সদরের কেরুনতলী এলাকা হতে ভুট্টাে হত্যা মামলার তিন আসামিকে আটক করা হয়।
এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মো হাফিজুর রহমান।

আটক আসামিরা হলো-টেকনাফ সদরের মৌলভীপাড়ার বাসিন্দা ও হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি মো একরামের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সাইফুল ইসলাম (২০), মোঃ শাকের (২২) ও মোঃ রমজান আলী(২৮)।

পুলিশ জানায়, আটকদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম এজাহারভুক্ত আসামি। তবে বাকি দু’জনকে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আটক করা হয়। তাদেরকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।


আরো খবর: