টেকনাফ সড়কে ডাম্পার চাপায় এক ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে অপর একজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। দূঘর্টনায় পতিত মানুষকে ডাম্পার চালক চাপা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে খুনের অভিযোগে চালকের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী উঠেছে।
জানা যায়, ১৫ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টারদিকে উপজেলার হোয়াইক্যং দক্ষিণ কাঞ্জর পাড়া টেকে টেকনাফগামী ডাম্পারের সাথে একটি যাত্রীবাহী সিএনজির সংঘর্ষে দূঘর্টনার সুত্রপাত হয়।
এসময় সিএনজি হতে যাত্রীরা ছিটকে পড়লে ডাম্পার চালক কৌশলে পুনরায় যাত্রীদের চাপা দেয় বলে স্থানীয় কয়েকজন জানায়। এরফলে নয়াপাড়ার মরহুম আব্দুল বারী মাষ্টারের পুত্র ইকবাল (৪২) এর পা ছিড়ে সড়বে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে যায় এবং নুরুল ইসলাম আকন্দ নামে আরো একজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইকবাল মারা যায়।
হোয়াইক্যং নয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরী সংবাদকর্মীদের জানান, দূঘর্টনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এরপর দূঘর্টনার কবলে পড়া গাড়ি ২টি জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় লোকজন বলতে শুনা যায়, দূঘর্টনার পর চালক পেছনে এসে রাস্তায় কাতরাতে থাকা লোককে চাপা দিয়ে পা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে ইকবাল মারা যায়। চালকেরা রোগীর চিকিৎসা খরচ বাঁচাতে পরিকল্পিতভাবে খুনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। স্থানীয় একটি মহল গাড়ির চালক ও মালিক পক্ষকে বাঁচানোর জন্য বলে বেড়াচ্ছেন,যে মরে গেছে সে তো আর ফিরে আসবেনা। মামলা করে কি লাভ হবে? এসব ঘাতকদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া না হলে চালকের ছদ্মবেশী খুনীরা বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
এলাকার সচেতনমহল মনে করেন,সড়ক দূঘর্টনার আড়ালে পরিকল্পতিভাবে খুনের বিষয়টি তদন্ত স্বাপেক্ষে চালকের ছদ্মবেশে খুনীদের আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।