শিরোনাম ::
‘পানামা খাল পুনরায় আমরা ফিরিয়ে নেবো’ ডিবি হারুনকে নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করলেন ডা. সাবরিনা যেভাবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজশাহীকে ৮০ রানে গুটিয়ে বিশাল জয় চিটাগংয়ের টেকনাফে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় আসামী হলেন বড় ভাইসহ ৪ জন : মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন উলিপুরে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মতি শিউলি আটক মহেশখালীতে পুলিশের অভিযান সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ গ্রেপ্তার ৪ মানবপাচারে গ্যাংস্টার-পুলিশের ভয়ানক জাল, জড়িত উখিয়া-টেকনাফের পাচারকারী মিয়ানমারের আরাকান আর্মি আটকে রাখা দু’টি জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরে নোঙর টেকনাফে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু
মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

টেকনাফে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় আসামী হলেন বড় ভাইসহ ৪ জন : মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আপডেট: সোমবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় বড় ভাইসহ ৪ জনকে আসামী করে মিথ্যা মামলা দায়ের ও হয়রানি বন্ধ এবং নির্দোষ স্বামীর মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য খুরশিদা বেগম নামে এক নারী।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) উখিয়ার কোটবাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহবান জানান তিনি।

খুরশিদা বেগম বলেন, আমার স্বামী সম্পূর্ণ নির্দোষ। সে আমার ৫ সন্তানের মাথায় হতে রেখে সকলের সামনে বলেছেন যে, মৃত নুরুল ইসলামের রাশেদের মৃত্যুর বিষয়ে কিছুই জানেনা।

পারিবারিক জমি নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তা স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। সেদিন চেয়ারম্যানের বিচার উভয় পক্ষ মেনে নিয়ে রায় অনুয়ায়ী আমার শাশুড়ী ৫ লক্ষ টাকা চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছিল। কিন্তু একটি পক্ষ আমার শাশুড়ীকে ভুল বুঝিয়ে সেদিন আমার স্বামীর সাথে বিচারে যাওয়ায় আমার ভাসুর, আমার চাচা শ্বশুর, জামাইকে আমার দেবরের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। যা প্রকৃত অপরাধীকে আড়াল করার সামিল।

এছাড়াও আমার দেবরকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। তার সুরতহাল রিপোর্টে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি। কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্ট না আসার আগেই আমার স্বামীসহ ৪জনকে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। যা খুবই দু:খজনক।

তিনি বলেন, আমার স্বামী পরিবারের সবার বড় হওয়ায় ছোট ভাইদের পড়ালেখা থেকে শুরু করে যাবতীয় খরচ নিজে বহন করতেন। কখনোই তাদের আলাদা করে দেখেননি। সবসময় তাদের বিপদ-আপদে পাশে থেকে তাদের ছেলের মতো করে আগলে রেখেছেন। কিন্তু এইগুলো কি হয়ে গেল জানিনা।

তিনি আরও বলেন, আমার দেবরের লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ তা ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করেছেন। তাই মোবাইলের ফোন কলের তালিকা এবং রেকর্ড চেক করলে হয়তো প্রকৃত রহস্য বের হবে।

বর্তমানে আমি ৫ সন্তান নিয়ে খুবই মানবেতর জীবনযাপন ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই আমার দেবরের মৃত্যুর বিষয়টি তদন্তপূর্বক সঠিক ঘটনা উদ্ঘাটন করতে প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন করছি।


আরো খবর: