টেকনাফে অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহকে ২২ দিনে এসে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি। একই সঙ্গে এই অপহরণে জড়িত চক্রের সকল সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার রাত ৮ টায় ওসি এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তবে অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত কোন তথ্য দেননি। ওসি জানিয়েছেন, পুলিশ অপহৃত ছয় বছরের শিশু ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ উদ্ধার এবং অপহরণ চক্রের পুরো গ্যাং গ্রেপ্তার করেছে। এব্যাপারে রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ওখানে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।
গত ৯ মার্চ টেকনাফের হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে অপহরণ হওয়া মাদ্রাসা ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ।
ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ একই এলাকার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ’র ছেলে। সে পূর্ব পানখালী এলাকার আবু হুরাইরা (রাঃ) মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণীর ছাত্র।
অপহরণের পর ওসি ও অপহৃত শিশুর মা নুরজাহান বেগম জানিয়েছিলেন, ৯ মার্চ সকালে ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ প্রতিদিনের মত টেকনাফ উপজেলার স্থানীয় আবু হুরাইরা (রাঃ) মাদ্রাসায় পড়তে যায়। দুপুরে মাদ্রাসায় ক্লাশ শেষে বাড়ীর ফেরার পথে শিশুটিকে থামিয়ে দুর্ঘটনায় মায়ের মাথা ফেটে গেছে বলে জানায় বোরকা পরিহিত অজ্ঞাত এক নারী। পরে ওই নারী শিশুটিকে ফুসলিয়ে একটি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়।
এব্যাপারে শিশুর মা নুরজাহান বেগম থানায় লিখিতভাবে অবহিত করছেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। এতে শিশুটিকে জনৈক নারীকে অটোরিকশা তুলে নিতে দেখা গেছে। পুলিশ ১০ মার্চ অভিযান চালিয়ে অপহরণ ঘটনায় ব্যবহৃত অটোরিকশার চালক ও সংঘবদ্ধ চক্রের নারী সদস্য সহ চক্রের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ৫ জনই রোহিঙ্গা। এর ধারাবাহিকতায় ২২ দিনে এসে পুলিশ শিশুটি উদ্ধার সহ পুরো চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারের খবর জানিয়েছেন।
পুলিশের তথ্য বলছে, গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১১৭ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৯ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক। অপহরণের পরিবারের তথ্য বলছে অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫১ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে।