হেলাল উদ্দিন টেকনাফ ::
সীমান্ত বাণিজ্যের আওতায় কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমার থেকে ১ হাজার ৫০০ কেজি কাঁচা আম এসেছে।
এসব আম ট্রলার থেকে খালাসের পর ট্রাকে ভতি করে ঢাকায় সরবরাহ করার প্রক্রিয়া চলছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর কাস্টমস শুল্ক কর্মকর্তা মো. শাহীন আখতার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মো. শাহীন আখতার বলেন, সোমবার সকালে মিয়ানমার থেকে কাঁচা আমসহ আচারভর্তি একটি ট্রলার জেটিতে নোঙর করে। ওই ট্রলারে ১ হাজার ৫০০ কেজি কাঁচা আম ছিল।
এসব আমের রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী উমর ওয়াহিদের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স আরমান এন্টারপ্রাইজের নামে কাঁচা আমগুলো টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে।
ব্যবসায়ী উমর ওয়াহিদ জানান, সাধারণত এ সময়ে বাজারের কাঁচা আম আসার কথা নয়। মিয়ানমারের ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কাঁচা আমের খবর পেয়ে পরীক্ষামূলকভাবে একটি চালান আনা হয়েছে। প্রতি কেজি আম ১৯০ টাকা দরে কেনা হয়েছে।
ঢাকায় পৌঁছানো পর্যন্ত পরিবহনসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রতি কেজি কাঁচা আমের দাম পড়ছে ২৩০ টাকা। আমগুলো ঢাকায় পৌঁছানোর পর ৩৫০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি করা হবে। ভালো দাম পাওয়া গেলে দুই-তিন দিনের মধ্যে আরও তিন-চার টন কাঁচা আম আনা হবে।
টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ভব সিন্ধু রায় বলেন, উপজেলার অধিকাংশ আমগাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। সাধারণত চৈত্র মাসের শেষের দিকে আম বাজারে আসার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে টেকনাফের কিছু হাটবাজারে কাঁচা আমের দেখা মিলছে।
মিয়ানমার থেকে আসা প্রতিটি আমের ওজন ২০০-২৫০ গ্রাম। বছরের নতুন ফল হিসেবে ক্রেতাদের মধ্যে চাহিদাও রয়েছে।