টোকিও, ০১ জানুয়ারি – জাপানে মাত্র ৯০ মিনিটের মধ্যে পরপর ২১টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, যেগুলোর মাত্রা ছিল ৪ অথবা তার বেশি। সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬।
জানা গেছে, ভয়াবহ এ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এরই মধ্যে মধ্য জাপানের সাড়ে ৩৩ হাজার পরিবার বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ইউটিলিটি কোম্পানিগুলো বলছে, জাপানের প্রধান দ্বীপ হোনশুর পাশে জাপান সাগর তীরবর্তী তৈয়ামা, ইশিকাওয়া ও নিগাতা অঞ্চলগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের কাছাকাছি প্রধান মহাসড়ক বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া কেন্দ্রস্থলের নিকবর্তী একাধিক প্রধান সড়কও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জাপান রেলওয়ে জানিয়েছে, টোকিও ও ইশিকাওয়া মধ্যে শিনকানসেন বুলেট ট্রেন চলাচলও স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে জানা যায়, ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর দেশটিতে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভূমিকম্পটি দেশটির মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে।
ভূমিকম্পের কারণে ৫ মিটার পর্যন্ত উঁচু ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে সতর্ক করেছে নোটো এলাকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে নিগাতা ও তোমায়া প্রিফেকচারেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেখানে ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ মিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
এর আগে গত মাসের শুরুর দিকে ফিলিপাইনে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে জাপানের হাচিজোজিমা দ্বীপে ৪০ সেন্টিমিটার বা ১ দশমিক ৩ ফুট উচ্চার সুনামি ঢেউ আঘাত হানে। দ্বীপটি জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে।
এছাড়া গত আগস্টে জাপানের হোক্কাইদো শহরে ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৬ কিলোমিটার গভীরে।
২০১১ সালের শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে জাপানের ফুকুশিমা প্রিফেকচারের দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর সবচেয়ে ভয়াবহ পরমাণু দুর্ঘটনা ছিল এই দাইচি পরামাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া।
সূত্র: জাগো নিউজ
আইএ/ ০১ জানুয়ারি ২০২৪