বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

জনতার তরঙ্গে ভেসে যাবে আওয়ামী লীগ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩
জনতার তরঙ্গে ভেসে যাবে আওয়ামী লীগ

ঢাকা – বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘প্রত্যেক জিনিসের উত্থান-পতন আছে। যে ঢেউ শুরু হয়েছে উত্তাল তরঙ্গের মতো, তাতে এরা (আওয়ামী লীগ সরকার) ভেসে যাবে। কারণ তাদের সঙ্গে জনগণ নেই, জনগণ থাকবে না।’ গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে

এক আলোচনাসভায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। বিএনপির ২৭ দফার রূপরেখা সবার সামনে ব্যাখ্যা করতে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ভোটের অধিকার ফিরে পেতে আমরা ১০ দফা দিয়েছি। এর প্রথম দফাই হলো- সরকারের পদত্যাগ, সংসদকে বিলুপ্ত ঘোষণা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা।’

নেতাকর্মীদের হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘অনেকের কথায় হতাশার ছাপ খুঁজে পাই। কেন হতাশ হবেন? আমরা তো সফল। প্রতিটা পদক্ষেপে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। জেলে আমি একা যাইনি; আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলে। তাদের মুখে এতটুকু হতাশা দেখিনি। কারণ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইটা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটা অসম লড়াইয়ের মধ্যে আছি। আমাদের প্রতিপক্ষ যারা, তারা প্রবল প্রতাপশালী। তাদের হাতে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্র, তাদের হাতে বন্দুক, তাদের হাতে পিস্তল-গ্রেনেড। অবলীলায় তারা সেগুলো মারে, উল্টো আবার আমাদের বিরুদ্ধে মামলাও দেয়।’

জাতীয় সংসদকে সরকার একদলীয় ক্লাবে পরিণত করেছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠানকে সরকার ধ্বংস করেছে।

২৭ দফা রূপরেখার মূল্যায়ন করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এটা জনগণের সামনে তুলে ধরব। এটা একটা ড্রিম। ড্রিম ছাড়া কখনো সফল হওয়া যায় না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হাইকোর্ট যখন আমাদের জামিন দেয়, সেই জামিন বাতিল করতে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। এ রকম একটা নয়, হাজার হাজার ঘটনা আছে। নিম্ন আদালতের কী হয়, তা সবাই জানে।’ সরকার গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এ নেতা।

আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন। এতে অন্যদের মধ্যে বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাম হাফিজ কেনেডি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনিসুর রহমান ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ বক্তব্য রাখেন।

সূত্র: আমাদের সময়

 


আরো খবর: