ইসলামাবাদ, ০৪ মার্চ – ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না লিমিটেড শুক্রবার নগদ সংকটে পড়া পাকিস্তানের জন্য ১৩০ কোটি ডলার ঋণের একটি রোলওভার অনুমোদন করেছে যা দেশটির ক্ষয়িষ্ণু বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে সাহায্য করবে বলে অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সুবিধাটি তিন কিস্তিতে বিতরণ করা হবে। ইতোমধ্যে ৫০ কোটি ডলারের প্রথম কিস্তি স্টেট ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তান পেয়েছে বলে দার টুইটে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াবে।’
দার বলেছেন, যে অর্থ সাম্প্রতিক মাসগুলিতে পাকিস্তান আইসিবিসিকে শোধ করেছে, তা দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা দেশ এখন অর্থপ্রদানের ভারসাম্য সংকটের মুখোমুখি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সবে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত আমদানি ব্যয় মেটাতে সক্ষম।
আগের দিন দার একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, পাকিস্তান আইসিবিসি থেকে অর্থায়ন আশা করছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে পাকিস্তান ইতিমধ্যেই চীনের কাছ থেকে ৭০ কোটি ডলার ঋণ পেয়েছে।
দার বলেন, মোট ২০০ কোটি ডলার কার্যকর হচ্ছে। পাকিস্তান পূর্বে সম্মত ঋণের জন্য বেইজিংকে যে ঋণ পরিশোধ করেছে তা ফেরত নেবে। জুনে শেষ হওয়া এই অর্থবছরে অর্থায়নের ফাঁক বন্ধ করতে পাকিস্তানের বাহ্যিক ৫০০ কোটি ডলার অর্থায়নের প্রয়োজন হবে।
ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার পরেই পাকিস্তানে আরও বাহ্যিক অর্থায়ন আসবে। এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেছিলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে করা উচিত।
ঋণদাতা তার নবম পর্যালোচনা সাফ করার জন্য গত মাসের শুরু থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। যদি তার বোর্ড অনুমোদন দেয় তবে ২০১৯ সালে সম্মত ৬৫০ কোটি ডলার বেলআউটের ১০০ কোটি ডলার ট্রাঞ্চ ইস্যু করবে।
ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকির উদ্বেগ খারিজ করে দার বলেন, ‘ঈশ্বরের ইচ্ছায় আমরা এই দেশকে এই জলাবদ্ধতা থেকে বের করে আনব।’
সূত্র: ঢাকাটাইমস
আইএ/ ০৪ মার্চ ২০২৩