নিজস্ব প্রতিবেদক,চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আলীর বসতবাড়িতে হামলা ভাংচুর তান্ডব চালিয়ে নগদ টাকা স্বর্ণারঙ্কার, কাপড়চোপড় আসবাবপত্র ও পালিত গরু লুট করে নিয়ে গেছে দুবৃর্ত্তরা। গত ৫ আগস্ট সোমবার বিকালে মালুমঘাট চাবাগান সড়কের পাশে শতাধিক লোক লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রে দলবদ্ধ হয়ে প্যানেল চেয়ারম্যানের বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে।
এ ঘটনা প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের গৃহকর্ত্রী ও ইউপি মেম্বার শওকত আলীর স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (৪৮)।
ঘটনার পর থেকে হামলাকারীদের নানামুখী হুমকি ধমকির মুখে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তিনবারের মেম্বার শওকত আলী।
চকরিয়া উপজেলা ইউপি মেম্বার এসোসিয়েশনের সভাপতি শওকত আলী বলেন, সোমবার বিকালে আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার স্ত্রী হোসনে আরা বেগম ছোট ছেলে এবং পুত্রবধূ বাড়িতে ছিলেন। এদিন বিকাল চারটার দিকে শতাধিক লোক লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রে দলবদ্ধ হয়ে হঠাৎ আমার দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে।
একপর্যায়ে তাঁরা আমার পরিবার সদস্যদের মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে জিন্মি করে বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে। তাঁরা চেয়ার টেবিল থেকে শুরু করে রান্নাঘরের সবধরনের আসবাবপত্র ভেঙে চুরমার করে দিয়ে আলমিরা ভেঙে নগদ টাকা, স্ত্রী ও পুত্রবধূর সাড়ে ৫ ভরি স্বর্ণারঙ্কার, দুটি টেলিভিশন, এতটি এসি, দুটি ফ্রিজ, একটি মোটর, চারটি মোবাইল ফোন, ভিসা, পাসপোর্ট, ব্যাংকের চেকবই ও পালিত একটি গাভী গরু লুট করে নিয়ে গেছে।
আক্রান্ত পরিবারের গৃহকর্ত্রী হোসনে আরা বেগম বলেন, হামলার একপর্যায়ে তাঁরা প্রেট্টোল দিয়ে আমার বাড়িটি আগুনে পুড়িয়ে দিতে চেষ্টা করে। এসময় আশপাশের প্রতিবেশি লোকজন এগিয়ে আসলে তাঁরা পালিয়ে যায়। তবে ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা আমার স্বামী প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আলী, বাড়িতে থাকা দুই ছেলে সোহেল রানা ও তফাইদুল ইসলামকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় তাদের ভয়ে ঘটনার পর থেকে আমার স্বামী বাড়ি ফিরতে সাহস পাচ্ছে না।
ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, আমি তিনবার জনগণের ভোটে মেম্বার নির্বাচিত হয়েছি। সবসময় চেষ্টা করেছি, জনগণের পাশে থেকে সহযোগিতা করার। আমার সঙ্গে কারো বিরোধ নেই। শুধুমাত্র শত্রুতার জেরধরে কতিপয় মহল ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরপরই সুযোগ নিয়ে আমার বাড়িতে নারকীয়ভাবে হামলা তান্ডব চালিয়েছে। তাঁরা আমার সহায় সম্পদ লুট করে নিয়ে গেছে। ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে বাড়ির সব মালামাল। সবমিলিয়ে তাঁরা আমার ৪০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। এখন হামলাকারীরা আমাকে হত্যার করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় আমি ও পরিবার পরিবার সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ঘটনায় আমি তাৎক্ষণিক চকরিয়া উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর কমাণ্ডার ও চকরিয়া থানার ওসিকে জানিয়েছি। কিন্তু উদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে এখনো আইনী সহায়তা পাইনি। এব্যাপারে আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি। #