নিজস্ব প্রতিবেদক ::
চকরিয়ায় ১২ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা কিশোরীকে বাড়ি পৌছে দেওয়ার কথা বলে বাসের ভিতরে ধর্ষণ চেষ্টা চালিয়েছে চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার। এ ঘটনায় বাসের চালক-সুপারভাইজার কৌশলে পালিয়ে গেলেও হেলপার মো. ফারুককে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় জব্দ করা হয়েছে বাসটিও।
শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৫টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড বাটাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ওই কিশোরী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
চকরিয়া থানায় দেয়া এজাহার সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ১ নম্বর বøকের রোহিঙ্গা ওই কিশোরী। গত ৫-৬ দিন আগে কাজের সন্ধানে চট্টগ্রামে যায় সে। কাজ না পেয়ে ক্যাম্পে ফিরতে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে লোকাল হানিফ পরিবহনের একটি বাসে করে চকরিয়া পৌরশহরের বাস টার্মিনালে পৌছালে ভাড়া দিতে না পারায় তাকে নামিয়ে দেয় ওই বাসের সুপারভাইজার।
পরে টার্মিনালে থাকা শ্যামলী পরিবহনের একটি লোকাল বাস এর হেলপারকে উখিয়া যাবে কিনা জিজ্ঞেস করেন। এক পর্যায়ে উখিয়া যাওয়ার কথা বলে ওই কিশোরীকে খালি বাসে তুলে চকরিয়া পৌরসভার বাটাখালী এলাকায় নির্জনস্থানে নিয়ে বাসের ভিতরে ধর্ষণ চেষ্টা চালায় ওই বাসের চালক-সুপারভাইজার ও হেলপার।
এসময় তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসার পর চালক-সুপারভাইজার কৌশলে পালিয়ে গেলেও হেলপার ফারুককে পাকড়াও করা হয়। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাকে গ্রেফতার করে।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, ওই কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। তিনজনের মধ্যে এজাহারনামীয় বাসের হেলপার ফারুককে গ্রেফতার করা হয়েছে। চালক-সুপারভাইজারকে গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।