বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

চকরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ৩ টি পরিবারের মাঝে উপজেলা চেয়ারম্যানের সহায়তা বিতরণ

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: রবিবার, ২২ মে, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক,চকরিয়া::

চকরিয়া উপজেলা পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া তিনটি পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদির পক্ষে তিন পরিবারের সদস্যদের হাতে সহায়তা হিসেবে টাকা তুলে দেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মকছুদুল হক ছুট্ট। এসময় উপস্থিত ছিলেন পুর্ববড় ভেওলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন সিকদার, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সদস্যরা।

উল্লেখ গত বৃহস্পতিবার (১৯মে) বেলা ২টার দিকে উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মাইজপাড়া এলাকায় জহির আহমদ ও তার দুইপুত্র ইসমাইল এবং ইলিয়াসে’র বসতঘরে এ অগ্নিকান্ডে ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হঠাৎ আগুন লাগে।

এসময় তিনটি বসতঘর একসাথে হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে বাড়ি গুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বসতঘরে থাকা লোকজন প্রাণে রক্ষা পেলেও তারা কোনো ধরণের জিনিসপত্র ওইসব বসতঘর থেকে বের করতে পারেনি।

পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে ওইসব পরিবারের প্রায় বিশলক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার দাবী করেছেন। বর্তমানে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ তিন পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।

এদিকে, অগ্নিকান্ডে বসতঘর পুড়ে যাওয়ার খবর শুনে ওইদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফারহানা আফরিন মুন্নাসহ স্থানীয় বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

চকরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনার সংবাদটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও গণমাধ্যমকর্মীরা আমাকে অবহিত করেন।

ক্ষতিগ্রস্থ তিন পরিবারের জন্য প্রশাসনের পক্ষথেকে প্রাথমিক ভাবে শুকনো খাবার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পরিধানের জন্য বস্ত্র তুলে দেয়া হয়।

তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের অনুদান পাওয়ার সাথে সাথে তা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের কাছে প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।


আরো খবর: