বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৪ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে একটি প্রিন্টার মেশিন নেই: দুইবছর ধরে বন্ধ এক্স-রে

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২

এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া::
স্বাস্থ্য মন্ত্রানালয়ের ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে অবকাঠামোগত উন্নয়নে ৫০ সয্যা থেকে একশত সয্যায় উন্নীত হয়েছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালটি। কালের পরিক্রমায় বাড়ছে রোগী, বাড়ছে সেবার কার্যক্রমও। তারপরও সরকারি এই হাসপাতালে সবকিছুতে সংকটের মাত্রা বেড়ে চলছে।
এমন সংকট আর দৈন্যদশার মধ্যে নতুন খবর হচ্ছে, হাসপাতালে টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে সবই রয়েছে। শুধু একটি প্রিন্টার মেশিন নেই। সেই জন্য চালু করা যাচ্ছেনা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনটি। এ অবস্থার কারণে হাসপাতালে আগত বেশিরভাগ রোগী সরকারি সেবা থেকে বি ত হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, বর্তমানে বাইরে থেকে করাতে হচ্ছে এক্স-রে। এর ফলে বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে রোগিদের।
চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা পলাশ সুশীল বলেন, ২০২০ সালে একটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন স্থাপন করা হয় এই হাসপাতালে। এরপর ২০২১ সালের জুলাই মাসে একজন টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেয়া হয়।
তিনি বলেন, সব কিছু থাকলেও নেই শুধু একটি প্রিন্টার মেশিন। এই প্রিন্টার মেশিনের জন্য দীর্ঘ ২ বছর ধরে পড়ে রয়েছে এক্স-রে মেশিনটি।
জানা গেছে, এক্স-রে মেশিনটি অচল পড়ে থাকার কারণে অনেকটা বসে বসে মাস শেষে বেতন উত্তোলন করছেন এক্স-রে টেকনিশিয়ান শহিদুল ইসলাম। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি একটি প্রিন্টার মেশিনের ব্যবস্থা করেন আমরা রোগিদের এক্স-রে সেবা দিতে পারবো। জানতে চাইলে এক্স-রে টেকনিশিয়ান শহিদুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালে এই হাসপাতালে প্রথম ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন স্থাপন করা হয়।
গত বছরের জুলাই মাসে আমি এই হাসপাতালে জয়েন্ট করি এক্স-রে টেকনিশিয়ান হিসেবে। ডিজিটাল মেশিনটির সবকিছু ঠিকঠাক রয়েছে। কিন্তু একটি প্রিন্টার মেশিন না থাকায় এক্স-রে করা সম্ভব হচ্ছেনা। এতে করে অলস সময় পার করতে হচ্ছে।
চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে আসা সাধারণ রোগিরা জানান, ডাক্তাররা এক্স-রে দিলে বাইর থেকে এক্স-রে করে নিয়ে আসতে হয়। এতে আমাদের অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে। এছাড়াও রোগিকে এদিক-ওদিক ছুটতে হচ্ছে বারবার। এতে করে ভোগান্তিও বাড়ছে।
অথচ এই হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন রয়েছে। টেকনিশিয়ানও রয়েছে। শুধু নাকি একটি প্রিন্টার মেশিনের জন্য এক্স-রে করা সম্ভব হচ্ছেনা। স্বল্প দামের টাকায় হয়তো পাওয়া যাবে প্রিন্টার মেশিনটি। এব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এব্যাপারে জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.শোভন দত্ত বলেন, আমি জয়েন্ট করেছি বেশিদিন হয়নি। ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন রয়েছে। টেকনিশিয়ানও রয়েছ্।ে শুধু প্রিন্টার মেশিনের জন্য কাজ করা যাচ্ছেনা।
তিনি বলেন, আমার আগের কর্মকর্তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়টি অবহিত না করে থাকলে আবারও লিখিতভাবে সিভিল সার্জন স্যারের কাছে পাঠানো হবে। আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আগত রোগিরা যাতে পর্যাপ্ত সেবা পায়।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা.মো.মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিইউএইচপি কাছে বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে


আরো খবর: