সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

চকরিয়ায় অস্ত্রবাজি, প্রশাসনের গাড়ি ভাঙচুর ও নিরীহ ব্যক্তি হত্যায় আওয়ামী লীগ জড়িত নেই

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক,চকরিয়া::
জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা ঘিরে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা সদরে সংর্ঘষের সময় হামলা চালিয়ে সরকারি গাড়ি ভাংচুর, গুলিতে ফোরকানুর রহমান নামের একজন নিরীহ মানুষ নিহত ও অস্ত্রবাজির ঘটনায় আওয়ামী লীগ বা সহযোগী সংগঠনের কোন নেতাকর্মী জড়িত নেই। আমরা তদন্ত করে দেখেছি, সহযোগী সংগঠন যুবলীগের কেউ অস্ত্রবাজি করেনি। অথচ বিভিন্ন গণমাধ্যমে যুবলীগের নেতাকর্মীদের জড়িয়ে হয়রানির অপচেষ্টা করা হচ্ছে । গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে চকরিয়া শহরের জনতা শপিং সেন্টারে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের যৌথ আয়োজনে সাংবাদিক সম্মেলনে চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু উপরোক্ত কথা বলেন।

তিনি দাবি করেন, ঘটনার দিন মঙ্গলবার ১৫ আগস্ট বিকালে চকরিয়া উপজেলা সদরে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির সশস্ত্র লোকজন প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ বাহিনীর ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা ও তাদের ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে চারটার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চকরিয়া পৌরশহরে শান্তি মিছিল নিয়ে বের হয়। কিন্তু তার আগেই মহাসড়ক থেকে আধ কিলোমিটার দূরে বায়তুশ শরফ সড়কের মাঝামাঝি স্থানে ফোরকানুল রহমান নামের একজন নিরীহ ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির কতিপয় সন্ত্রাসীরা। অথচ সেই হত্যার ঘটনা আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে দিয়ে চকরিয়াকে অশান্ত করার মিশনে নেমেছেন জামায়াত-শিবির ও বিএনপির লোকজন।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বলেন, পুরোনো একটি ছবি এডিটেড করে ঘটনার পর দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াতেরই একটি মিডিয়া সেল।
এমনকি কিছু প্রচার মাধ্যমে সেই ছবিকে সত্য ধরে নিয়ে এবং অস্ত্র তাক করা ব্যক্তিটি পৌর যুবলীগের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি বেলাল উদ্দিনের বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় বেলাল উদ্দিন নিজে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের জীবনহানির শঙ্কা দেখা দিয়ে দিয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ওইদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম এমপির নেতৃত্বে চকরিয়া উপজেলায় সরকারি প্রতিষ্ঠান ও দলীয় আয়োজনে নানা কর্মসূচী নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। বিকেল চারটার দিকে খবর পান সাঈদীর গায়েবানা জানাজা ঘিরে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টি শুরু করেছে। তখনই মূলত ফোরকানুল ইসলাম হত্যাকাÐটি সংঘটিত হয়। এর পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তি মিছিল নিয়ে মাঠে নামলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা যুবলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন বলেন, ১৫ আগস্ট আমি পৌরশহরের চিরিঙ্গার শান্তি মিছিলেও উপস্থিত ছিলাম না। মূলত সকাল থেকেই হলুদ পাঞ্জাবী ও সাদা পায়জামা পরে আমি ছিলাম চিরিঙ্গা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের গ্রীণ ভ্যালী কমিউনিটি সেন্টারে। যেখানে শোক দিবস উপলক্ষে গণভোজের আয়োজন চলছিল। এর পর থেকে একই পোশাকে আমি বিভিন্নস্থানে যাই। যেসব জায়গায় আমি গিয়েছি, সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংরক্ষিত আছে। অথচ আমাকে অস্ত্রবাজ আখ্যা দিয়ে গণমাধ্যমে তুলে ধরায় আমি এবং পরিবার সদস্যরা জীবনহানির শঙ্কায় রয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বশিরুল আইয়ুব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন, চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীর চৌধুরী, ফরিদুল আলম, হুমায়ুন কবির, আরিফ মঈনুদ্দীন রাসেলসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।


আরো খবর: