বৈরুত, ০৫ অক্টোবর – ইসরায়েলের বিমনা হামলায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যু হয়। এরপর হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান হিসেবে হাশেম সাফিউদ্দিনের নাম উঠে আসে। এমন আলোচনার মধ্যেই গত ৩ অক্টোবর সাফিউদ্দিনকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরায়েল। এরপর থেকে সাফিউদ্দিনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে রয়টার্স ও দ্য টাইমস অব ইসরায়েল।শনিবার (৫ অক্টোবর) গণমাধ্যম দুটি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, শুক্রবার থেকে হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য শীর্ষনেতা হাশিম সাফিউদ্দিনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।হামলায় হাশেম সাফিউদ্দিন আহত বা নিহত হয়েছেন কি না, সে সম্পর্কে গণমাধ্যমগুলো কোনো তথ্য দেয়নি। হিজবুল্লাহও এখন পর্যন্ত সাফিউদ্দিন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।জানা গেছে, হিজবুল্লাহর দুই নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে একজন সাফিউদ্দিন। তিনি নিহত হাসান নাসরুল্লাহর চাচাত ভাই। ধারণা করা হচ্ছে, নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি হিসেবে হিজবুল্লাহর পরবর্তী প্রধানের দায়িত্ব পাবেন তিনি। সাফিউদ্দিন বর্তমানে হিজবুল্লাহর নির্বাহী পরিষদের প্রধান।এদিকে, হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার দুদিন পরেই লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। পরদিন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ১ অক্টোবর রাতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান।ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলে মিসাইল ছুড়ে ইরান ‘বড় ভুল’ করেছে। এর মূল্য দিতে হবে তাদের। জবাবে ইরানের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি জানিয়েছেন, পাল্টা হামলা হলে ইসরায়েলজুড়ে সব স্থাপনায় হামলা চালানো হবে।উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মিত্র হামাসের সমর্থনে ইসরায়েলে নানা সময় ছোট আকারে হামলা চালিয়ে আসছিল হিজবুল্লাহ। বলা হয়, হিজবুল্লাহর প্রধান সমর্থক ও অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ ইরান।চলতি বছরের মে মাসে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান। যদিও অনেকের ধারণা এর পেছনে ইসরায়েলের হাত রয়েছে। রাইসির মৃত্যু এক মাস পরই (জুলাই) ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে ‘গুপ্ত হামলা’ চালিয়ে হত্যা করে ইসরায়েল। এরপর থেকেই ইসরায়েলে ধারাবাহিক হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ।সূত্র: আরটিভি নিউজআইএ/ ০৫ অক্টোবর ২০২৪