আঙ্কারা, ১৯ ফেব্রুয়ারি – তুরস্ক-সিরিয়ায় স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় দুই সপ্তাহ পর বেশিরভাগ প্রদেশে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি)। রোববার সন্ধ্যা নাগাদ অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান ইউনিস সেজার।
শনিবার এক বিবৃতিতে এএফএডি-এর প্রধান ইউনিস সেজার জানান, ভূমিকম্পের কারণে তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ হাজার ৬৪২ জন হয়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা লোকদের খোঁজ ও উদ্ধারের কাজ বেশিরভাগ প্রদেশে শেষ হয়েছে। অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা রোববার রাতে শেষ হবে।
এসময় সেজার দাবি করে বলেন, আমরা সম্ভবত ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছি, ১১টি প্রদেশের বাইরেও ভূমিকম্প এবং আফটারশকের কারণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ভূমিকম্পের পর থেকে ঠিক কতসংখ্যক মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন সেবিষয়ে কোনও পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি তুরস্ক এবং সিরিয়া।
গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ৪৬ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। তবে এই প্রাণহানির সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্মরণকালের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে কেবল তুরস্কেই ৩ লাখ ৪৫ হাজারের মতো অ্যাপার্টমেন্ট ধ্বংস হয়েছে। এখনও অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া ১০ লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পরেছে। ভুমিকম্পের কারণে কোটি ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা দেশ দুটির।
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, ভূমিকম্পের তুরস্ক এবং সিরিয়ায় প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষের জন্য জরুরিভিত্তিতে ত্রাণ সহায়তা দরকার। প্রাণঘাতী এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর ওয়াশিংটন কীভাবে আঙ্কারাকে আরও সহায়তা করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করতে রোববার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন তুরস্কে পৌঁছেছেন।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল