কুতুবদিয়ায় সুমি আক্তার (২১) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (১৫ মে) বিকালে উপজেলার উত্তর ধুরুং ফুড়ার পাড়া গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর থেকেই তার স্বামী সরোয়ার আলম পলাতক রয়েছেন।
সুমির পরিবারের দাবি, এটি আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সুমির পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় আট বছর আগে সরোয়ার আলমের সাথে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক পুত্রসন্তান রয়েছে এবং ২মাসের অন্তস্বত্তা। বিয়ের পর থেকেই সুমি সঙ্গে প্রায়ই স্বামী ঝগড়া লেগে থাকতো।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুমির মা- বাবা বলেন, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। স্বামী সরোয়ার পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এখন আত্মহত্যা বলে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। মেয়ে হত্যার বিচারের দাবি জানান তাঁরা। সে নিয়মিত জুয়া এবং মাদক সেবনকারী বলেও উল্লেখ করেন। কয়েকবার মাদক সেবনকরে এসে মেয়েকে মারধর করেছে বলেও অভিযোগ তাদের।
স্থানীয় কলিম উল্লাহ বলেন, এইরকম আত্মহত্যা কোনদিন দেখিনি। হাঁটু মাটিতে পড়ে আছে। এটি আত্মহত্যা হতে পারে না ।
স্থানীয় এহসান বলেন, তাঁরা প্রেম করে বিয়ে করেছে। প্রতিদিন ঝগড়া লেগে থাকতো। হয়তো বা ঝগড়ার জের ধরে হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁর ধারণা।
এদিকে, লাগুয়া বাড়ির গৃহিণী দিলু আরা বেগম বলেন, স্বামী সাথে কোনো ঝগড়া হতে শুনিনি । সকালে আমাদের সাথে ভালোভাবে কথা বলেছে। বিকালের সময় বাড়ি থেকে বের না হাওয়াতে অনেক ডাকাডাকির পর জানালা দিয়ে উঁকি দিলে সুমিকে ঝুলতে অবস্থায় দেখতে পাই।
স্থানীয় ৮নং ইউপি সদস্য কলিম উল্লাহ বলেন, মৃত্যুর ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা বলতে পারছি না।
কুতুবদিয়া ওসি ওমর হায়দার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ তার ঘর থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।