শিরোনাম ::
ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্য বেতনস্কেল তৈরি করছে ধর্ম মন্ত্রণালয় দেশবাসীকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন জামায়াত নেতা হোটেল কক্ষ থেকে জনপ্রিয় দক্ষিণি অভিনেতার মরদেহ উদ্ধার ভ্রমণিকা মোবাইল অ্যাপ : নতুন বছরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের উপহার বছরের প্রথমদিনে স্বাস্থ্যকার্ড পাচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে আহতরা জিমি কার্টারের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা চলতি বছরে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত ৯০৫, আহত ২১৮ শ্রমিক ঢাকা থেকে বদলি হওয়া একজন ওসির নারী কেলেঙ্কারিসহ ঘুষ-বাণিজ্যের গল্প প্রধান বিচারপতির সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ পেকুয়ায় ফসলি জমিতে মাটি কাটার দায়ে তিনজনকে কারাদন্ড
বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

কানাডীয় কিশোরী এখন ৩৮৪ কোটি টাকার মালিক

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

জীবনে প্রথমবারের মতো লটারির টিকিট কিনেছিলেন কিশোরী জুলিয়েট লামুর। গত ৭ জানুয়ারি লটারির ড্র হয়। ১৮ বছর বয়সী এ কানাডীয় শিক্ষার্থী ৪ কোটি ৮০ লাখ কানাডীয় ডলারের (৩৮৪ কোটি বাংলাদেশি টাকা) লটারি জিতে নিয়েছেন। তিনি সবচেয়ে কম বয়সী কানাডীয় হিসেবে এত বড় পুরস্কারটি জিতে নিলেন।

এত কম বয়সে আচমকা অকল্পনীয় সম্পদের মালিক হয়ে যাওয়া মানুষদের অনেকে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না। সেদিক থেকে জুলিয়েট লামুর অনেকটাই ব্যতিক্রম। পুরস্কার পাওয়ার পর পরই পরামর্শের জন্য বাবার কাছে ছুটে গেছেন তিনি। বাবাকে তিনি নিজের আর্থিক উপদেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করেন।

গতকাল শুক্রবার অন্টারিওভিত্তিক লটারি পরিচালনাকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান অন্টারিও লটারি অ্যান্ড গেমিং করপোরেশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আনন্দ উদ্‌যাপন করেন জুলিয়েট। বলেন, প্রথম লটারির টিকিটেই পুরস্কার জিতে নেওয়ার বিষয়টি এখনো তাঁর বিশ্বাস হচ্ছে না।

অন্টারিওর বাসিন্দা জুলিয়েট বলেন, লটারি টিকিটটি কিনেছিলেন, সেটা তিনি ভুলেই গিয়েছিলেন। পরে শুনলেন, ৭ জানুয়ারি লটারির ড্র হয়েছে। তাঁর এলাকারই কেউ একজন পুরস্কার জিতেছেন। তখন টিকিটটি খুঁজে বের করে মোবাইল অ্যাপের সহায়তায় নম্বরটি যাচাই করেন তিনি। হঠাৎই মোবাইলের স্ক্রিনে বিগ উইনার লেখা ভেসে ওঠে। সঙ্গে একটি জিঙ্গেল বাজতে থাকে।

জুলিয়েট বলেন, ‘আমার সহকর্মী বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। তিনি হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছিলেন। তিনি চিৎকার করেছিলেন। অন্যরাও চিৎকার করে বলছিলেন যে, আমি ৪ কোটি ৮০ লাখ ডলারের লটারি জিতে গেছি।’

বাবার পরামর্শ অনুযায়ীই লটারিতে পাওয়া বেশির ভাগ অর্থ খরচ করতে চান জুলিয়েট। লটারি কেনার পরামর্শটিও বাবার কাছ থেকেই পেয়েছিলেন।

জুলিয়েটের স্বপ্ন তিনি চিকিৎসক হবেন। সে স্বপ্নপূরণে লটারিতে জেতা কিছু অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছেন তিনি। চিকিৎসক হয়ে আবারও উত্তরাঞ্চলীয় অন্টারিওতে ফিরে যেতে চান তিনি। সেখানকার জনগণের সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করতে চান।

জুলিয়েটের ইচ্ছা, লটারির অর্থ দিয়ে তিনি পরিবারকে নিয়ে আনন্দের সময় কাটাবেন। তিনি বলেন, ‘স্কুলে পড়াশোনা শেষ হলে আমি ঘোরার জন্য একটি মহাদেশকে বেছে নেব। এরপর পরিবারসমেত সেখানে ঘুরে বেড়াব, নতুন নতুন জিনিস দেখব। বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাই। তাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে চাই, তাদের খাবারের স্বাদ নিতে চাই এবং তাদের ভাষায় বলা কথাগুলো শুনতে চাই।’

জুলিয়েট লামুর আশা করেন, প্রিয়জনের দেওয়া কিছু উপদেশ তিনি মেনে চলতে পারবেন। তিনি মনে করেন, অর্থবিত্ত দিয়ে মানুষকে চেনা যায় না। কর্মের মধ্য দিয়েই মানুষ পরিচিতি পায়।

সূত্র: প্রথম আলো

,


আরো খবর: