কক্সবাজারে কলার সঙ্গে ইয়াবা খেয়ে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে ধরা পড়েছেন এক ব্যক্তি। এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) জুয়েল মিয়াকে (৩৩) আটক করে। তার কাছ থেকে ৩ হাজার ৮০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
এপিবিএনের কমান্ডিং অফিসার (সিও) সিহাব কায়সার খান বাংলা ট্রিবিউন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এপিবিএন সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৮ নভেম্বর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সামনে নতুন রাডার বিল্ডিংয়ের পূর্ব দিকে জুয়েল মিয়াকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার দেহ তল্লাশি করা হয়। সে অবৈধ মাদকদ্রব্য বহন করছে বলে তথ্য ছিল। জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশির এক পর্যায়ে জুয়েল মিয়া জানায়, পেটের ভেতর ইয়াবা ট্যাবলেট বহন করছে সে। পরে হলি ল্যাব ডায়গনস্টিক কমপ্লেক্সে এক্সরে করালে তার পেটের ভেতরে অস্বাভাবিক ডিম্বাকৃতি বেশকিছু বস্তুর অস্তিত্ব দেখা যায়।
ডাক্তারের পরামর্শক্রমে সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে তার পেট থেকে বের হয়ে আসা ৭১টি ডিম্বাকৃতির পোটলা উদ্ধার করা হয়। কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো পোটলাগুলো থেকে মোট ৩ হাজার ৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়, যার ওজন ৩০৮ গ্রাম।
এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রাকিব বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসে জুয়েল। বিমানযাত্রার আগে ইয়াবাগুলো কয়েকভাগে ভাগ করে কালো টেপে মুড়িয়ে কলার সঙ্গে গিলে ফেলে।
দীর্ঘদিন ধরেই জুয়েল মিয়া ঢাকা শহরের অজ্ঞাতনামা বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীর কাছে অবৈধ পন্থায় মাদকদ্রব্য বিক্রি করে আসছে বলেও জানা গেছে।
তিনি বলেন, পাকস্থলীতে অধিক পরিমাণে অস্বাভাবিক ও ভারী বস্তু বহনের কারণে অভিযুক্ত আসামি অসুস্থ বোধ করলে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে ওই হাসপাতালেই ভর্তি আছেন। তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্বাভাবিক আছে।
তার বিরুদ্ধে ২০১৮ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।