বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। শুক্র ও শনিবার বন্ধ, রবিবার এক দিন পর আবার ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সরকারি ছুটির কারণে এ অবস্থা বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে বার্ষিক পরীক্ষাও শেষ- ফলে অবসর কাটাতে কক্সবাজার ছুটে আসছেন ভ্রমণপিপাসুরা। গতকাল দুপুর থেকে কক্সবাজার সৈকতে বিপুল মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

বিকাল পেরিয়ে সন্ধ্যা নাগাদ ভিড় লেগেই ছিল রাস্তাঘাট, হোটেল-মোটেল জোনে। পাশেই বাণিজ্য মেলায়ও বিপুল মানুষের সমাগম ঘটে।

হোটেল-মোটেলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রায় সব হোটেলেই শতভাগ বুকিং রয়েছে। লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলী সমুদ্রসৈকত ছাড়াও হিমছড়ি, ইনানী, দরিয়া নগর পাটুয়ার টেকসহ সব পর্যটন স্পটে ব্যাপক সমাগম ঘটেছে।

শহরের কলাতলী ভাস্কর্য মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পরিবহন থেকে পর্যটকেরা নামছেন। যাদের হোটেলকক্ষ বুকিং দেওয়া আছে, তারা অটোরিকশা, ইজিবাইকে গন্তব্যে ছুটছেন। যাদের কক্ষ বুকিং করা নেই, তাদের সড়কের দুই পাশে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। মানিকগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক ফারহানা ও ফয়সাল জানান, ছুটি পেয়ে কক্সবাজার বেড়াতে আসছেন অনেকদিন পর।
কাজের চাপসহ সব ক্লান্তি ভুলে এখানে সময় পার করছেন তারা।
কক্সবাজারে সাড়ে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস রয়েছে। এর মধ্যে স্টার মানের হোটেল রয়েছে অর্ধশত। কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী জানান, কক্সবাজারে সাড়ে তিন শতাধিক রেস্তোরাঁ রয়েছে। আশা করি, এখন থেকে ব্যবসা ভালো হবে, মন্দাভাব কেটে যাবে।

হোটেল কক্সটুডের প্রধান নির্বাহী আবু তালেব শাহ বলেন, ভালোই পর্যটক আসছেন। আশা করি আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ভিড় অব্যাহত থাকবে।

কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের পুলিশ সুপার আল আসাদ মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে আমাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন। আমরা আইটির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিতের কাজ করছি।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, টানা ছুটিতে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম হওয়ায় জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেল থেকে বিশেষ মনিটরিং ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। কোনো পর্যটক যাতে হয়রানির শিকার না হয়- বিষয়টি তদারকির জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


আরো খবর: