মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

উখিয়ায় দিনমজুরকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ, তদন্তের দাবী

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ২ এপ্রিল, ২০২২

ফারুক আহমদ উখিয়া::

উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের তোলাতুলি গ্রামের সৈয়দ হোসেন নামক এক দিনমজুর কাঠুরিয়াকে গভীর রাতে নিজ বাড়িতে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দিয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ মার্চ ।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা সরেজমিন নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে নিরাপরাধ দিনমজুরকে মিথ্যা মামলা থেকে খালাস দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৭ ওয়ার্ডের ডেইল পাড়া তুলাতুলি গ্রামের আবদু সবুরের পুত্র ছৈয়দ হোসেন একজন দিনমজুর।পাহাড়ের লাকড়ি আহরণ করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করে। গত ২১ মার্চ ৩০ হাজার ইয়াবা সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ৩৪ বিজিবি বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলা করে। এতে ছৈয়দ হোসেনকে ১ নম্বর আসামী করা হয়। যার মামলা নম্বর জিআর ৩৫৪ /২০২২ তারিখ ২২ মার্চ।

স্ত্রী রেহেনা আকতার (২২) জানান, স্বামী ছৈয়দ হোসেন ঘরে ঘুমানো অবস্থায় স্হানীয় কয়েক জন লোক এসে ঘুম থেকে তুলে বিজিবির সাথে কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে যায় । আমার স্বামী কখনো ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলনা। তিনি নির্দোষ। অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে তাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে।
বয়োবৃদ্ধ পিতা আবদু সবুর বলেন, এলাকার চিহ্নিত দালাল বা সোর্স তাদের মাদক ব্যবসা জায়েজ করার জন্য আমার নিরাঅপরাধ ছেলেকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে বিজিবির হাতে তুলে দিয়েছে। ছেলেকে মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই দেয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

গ্রামবাসীরা জানান, ছব্বির আহমদের পুত্র ইমাম হোছনের নেতৃত্বে একটি ইয়াবা সিন্ডিকেট রয়েছে। ইয়াবা ব্যবসার আড়ালে বিজিবির সোর্স হিসাবে কাজ করে। মাদক কারবারিকে বাঁচাতে বিজিবিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিরীহ মানুষ হয়রানি করে যাচ্ছে ইমাম হোসেন গ্রুপ।
মা ফরিদা খাতুন কেঁদে কেঁদে বলেছেন ছেলে ছৈয়দ হোসেন কে অন্যায় ভাবে জেলে দিয়েছে। আমরা গরীব। আমাদের কথা কেউ শুনে না। ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার দাবী করেন তিনি।

কামাল হোসেন জানান, ঘটনার রাতে কয়েকজন চিহ্নিত দালাল আমার ভাই কে ঘুম থেকে তুলে খালি হাতে নিয়ে যায়। চিৎকার শুনে আমি ঘুম থেকে উঠে তাদের পিছনে পিছনে যাই। তিনি অভিযোগ করে বলেন সোর্সরা বিজিবিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুরো রাতে বিভিন্ন স্হানে নিয়ে গিয়ে হাত পা বেধে আমার ভাই ছৈয়দ হোসেন কে দফায় দফায় নির্মম ভাবে নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের পরিবারের সদস্যরা তিনি নির্দোষ দাবী করে শত আকুতি জানালেও বিজিবি শুনেনি।

ভোক্তভোগী পরিবারে দাবী হচ্ছে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় কোন প্রকার ইয়াবা পায়নি। খালি হাতে তাকে নিয়ে যায়। সারারাত অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে পরের দিন কাঠুরিয়া ছৈয়দ হোসেনকে ৩০ হাজার ইয়াবা দিয়ে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে। ফাতেমা বেগম, রশিদা বেগম ও রেনু আরা বেগম সহ কয়েকজন নিকটবর্তী লোকজন নিরহ ছৈয়দ হোসেনের মুক্তির দাবী করেছেন। পুরো এলাকাবাসী মানবিক বিবেচনায় এ ঘটনাটি নিরপেক্ষ তদন্ত ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়েছেন।


আরো খবর: