শিরোনাম ::
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর, “মিয়ানমারের বিরূদ্ধে মামলায় অগ্রগতি হচ্ছে” কুতুবদিয়ায় নৌবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার টেকনাফের ২ মাদক ব্যবসায়ীকে দশ হাজার পিস ইয়াবাসহ ঢাকায় গ্রেফতার ভুয়া কাগজে ‘ভোটার হতে গিয়ে’ ৪ রোহিঙ্গা গ্রেপ্তার নাফনদীতে ফেলে যাওয়া ব্যাগ থেকে আড়াই লাখ ইয়াবা উদ্ধার টেকনাফে মাছ ক্রয় করতে আসা অপহৃত দুই রোহিঙ্গা উদ্ধার, গ্রেফতার-৩ চকরিয়ায় পর্নোগ্রাফি আইনে দুইজন বিভিন্ন মামলায় ৭ আসামি গ্রেফতার চকরিয়ায় রান্নাঘরের গ্যাসের চুলার আগুনে পুড়ে ছাই বসতবাড়ি কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশী আহত, পতাকা বৈঠক রিমান্ড শেষে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ও এমপি জ্যাকব কারাগারে
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

ঈদের আনন্দ নেই মিয়ানমারের বিজিপি ধরে নেওয়া ১৮ জেলে পরিবারে

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: সোমবার, ২ মে, ২০২২

হেলাল উদ্দিন টেকনাফ::

রমজানের শেষদিকে এসে ঈদের উৎসব চলছে চারিদিকে। বাজারে বাজোরে বেচা-কেনার ধুম পড়েছে। ঈদের আনন্দ করতে পারছে না বঙ্গোসাগরে মাছ শিকারি সংসার চালানো ১৮ জেলে পরিবারের লোকজন। এসব পরিবারে ঈদের আয়োজন তো দূরের কথা, ঠিক মতো দুই বেলা পেটভরে ভাত মিলছে না। এ পরিবারগুলোতে ঈদের আনন্দ নেই বললেও চলে।

গত ১৫মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে মিয়ানমারের বিজিপির সদস্যরা সাগর থেকে মাছ শিকার করে ফেরারপথে চারটি নৌকাসহ ১৮বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে যায়।
আটক জেলেরা হলেন-উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার নুর কালাম (২৬),মোহাম্মদ জসিম(২৫),সাইফুল ইসলাম (২৩),মো. ফয়সাল (২৩), আবু তাহের (২২), মো. ইসমাইল (২০), মো. ইসহাক (২৪), আবদুর রহমান (২৪),মো. হোসেন (২২), মোহাম্মদ হাসমত (২৫), মোহাম্মদ আকবর (২৩), নজিম উল্লাহ (১৯), মোহাম্মদ রফিক (২০), মোহাম্মদ সাব্বির (২৫), মোহাম্মদ হেলাল (২৫), মো. জামাল(২১),রেজাউল করিম(১৮) ও মোহাম্মদ রমজান (১৬)।

রোববার পহেলা মে দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শাহপরীর দ্বীপ ৩৬নং ফোল্ডারে নাফনদীর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার অবস্থান। নাফনদীর তীর ঘেষা এলাকার বিভিন্ন ঘরে ঈদের আনন্দ নেই। কারণ,একটি গ্রামের ১৮জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার বিজিপির সদস্যরা। কেহ সন্তান, আর কেহ স্বামীর বা কেহ বাবার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। কিন্তু ১৮টি পরিবারে চলছে নানান ধরনের হতাশা। তারা যেকোনো মূল্যে ফেরত চান ধরে নেওয়া ১৮জন জেলেকে।

কালামের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, ঈদ দিয়ে কি হবে ? স্বামীকে তো ফেরত পেলাম না। কেমন আছেন, কোথায় আছে কে জানে ?

তিনি জানান, ঈদ নিয়ে কি করব।ঈদের আনন্দ তো মিয়ানমারে আটকা আছে।ছেলে-মেয়েরা নতুন জামা-কাপড়ের জন্য কান্নকাটি করছে।হাতে কোনো টাকা-পয়সা নেই।কাপড় কিনে দিব কি ভাবে।

হেলালের মা নুর বেগম বলেন, ঈদের আনন্দের এখনে নেই। সবপরিবারের সদস্যদের চোখে-মুখে এখন শুধু হতাশা।পরিবারের লোকজন ঠিক মতো খাবার মুখে দিতে পারছে না।ঈদ দিয়ে আমাদের কি হবে।পরিবারের সদস্যদের ফেরত পেলে জীবনের সৃষ্ট ঈদ উৎয়াপন হবে।

সাবরাং ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ধরে নিয়ে যাওয়া ১৮জেলে বর্তমানে কোথায় আছেন, পরিবারগুলো কিছুই জানে না।এজন্য পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কগ্রস্ত ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।মাছ শিকার করে তাদের ঘরসংসার চললেও বর্তমানে পরিবারগুলোর সদস্যরা অধাহারে-অনাহারের মধ্যে জীবন-যাপন করছেন।

জালিয়াপাড়া ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুল গনি বলেন, জেলেগুলোকে ফেরত আনার জন্য সরকারের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করেছি।

টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন,বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)পক্ষ ওই জেলেদের ফেরত চেয়ে একাধিকবার মিয়ানমার সীমান্তবক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে।কিন্তু আজও তারা বাংলাদেশি জেলেদের ফেরত দেয়নি।


আরো খবর: