ইসলামবাদ, ২৮ আগস্ট – পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা মামলার অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে ইসলামাবাদের একটি আদালত। সোমবার ইমরান খানের আইনজীবি এ দাবি করেছেন উল্লেখ করে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে ইমরান খানের আইনজীবী নাইম পাঞ্জুথা এক পোস্টে লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ! রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অভিযোগপত্র থেকে ইমরান খানের নাম প্রত্যাহার করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত বছরের এপ্রিলে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষতমাচ্যুত হয় বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার ইমরান খান। এরপর থেকেই কয়েক ডজন মামলার করা হয় তার বিরুদ্ধে। ২০২২ সালের ২৫ মে পিটিআইয়ের লংমার্চ এবং রাষ্ট্রের ওপর হামলার আনুষ্ঠানিক পরিকল্পনার অভিযোগে বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সে মামলা থেকে অব্যহতি পেয়েছেন ইমরান খান।
পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোশাখানা বিতর্কের শুরু হয় ২০২১ সালে। ওই সময় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি রাষ্ট্রীয় তোশাখানা থেকে বিদেশিদের দেয়া বিভিন্ন উপহার নামমাত্র মূল্যে কিনে নেন। পরে সেসব উপহার উচ্চ দামে করে দেন তারা।
এই অভিযোগে ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও সেশন আদালতে মামলা করে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। গত ৫ আগস্ট সেই মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার। রায়ের সংক্ষিপ্ত ঘোষণায় তিনি ইমরান খানকে তিন বছর কারাবাসের সাজা এবং এক লাখ রুপি জরিমানা ধার্য করেন। বর্তমানে তিনি ওেই মামলায় জেলে আছেন।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৮ আগস্ট ২০২৩