ইসলামবাদ, ০৮ আগস্ট – পাকিস্তানের কারাবন্দী সাব্কে প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের আইনজীবী নাঈম হায়দার পাঞ্জোথাকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফআইএ। মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দলটির সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টের বিষয়ে তদন্তের জন্য ওই আইনজীবীকে তলব করা হয়েছিল। পরে তিনি এফআইএর সদর দপ্তরে যান। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পিটিআইয়ের আইনজীবী শের আফজাল খান মারওয়াত এক টুইট বার্তায় পাঞ্জোথাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়। কারণ কোনও আইনজীবীর বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে এবং ইসলামাবাদ হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া এফআইআর দায়ের করা যাবে না।
টুইটে তিনি বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফআইএ নাঈম হায়দার পাঞ্জোথাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। হুমায়ুন দিলাওয়ারের ফেসবুক পোস্টের তদন্তে অংশ নিতে এফআইএর সদর দপ্তরে গিয়েছিলেন।’
মারওয়াত বলেছেন, পাঞ্জোথার গ্রেপ্তার ‘আইনজীবীদের দলকে ঐক্যবদ্ধ করবে’ এবং পিটিআই চেয়ারম্যানের আইনি দলের ‘পেশাদারী বাধ্যবাধকতা’ পালনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে না।
ইসলামাবাদের হাইকোর্টের নির্দেশে এফআইএর সাইবার অপরাধ শাখা ইমরান খানের আইনজীবী দলের সদস্য পাঞ্জোথার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। মঙ্গলবার তাকে ইসলামাবাদের সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং সেন্টারের (সিআরসি) তদন্তকারী কমিটির সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
তদন্তকারী কর্মকর্তা সুষ্ঠু বিচারের স্বার্থে আইনজীবী পাঞ্জোথাকে তার অবস্থান পরিষ্কার করতে বলেছিলেন। গত সপ্তাহে ইসলামাবাদের হাইকোর্টের বিচারক দিলাওয়ারকে নিয়ে দেওয়া ‘বিতর্কিত’ একাধিক ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এফআইএর কাছে অভিযোগ করেন।
গত ৫ আগস্ট পাকিস্তানের বহুল আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পিটিআই প্রধান ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার। আদালতে রায় ঘোষণার ২৯ মিনিটের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় দেশটির সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।
সাবেক ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ৭০ বছর বয়সী ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের উপহার সামগ্রী কেনাকাটায় দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছিল। বিদেশ সফরের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে পাওয়া এসব উপহার সামগ্রীর মূল্য ১৪০ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপির বেশি।
কিন্তু শুরু থেকেই ইমরান খান তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আইএ/ ০৮ আগস্ট ২০২৩