সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

পেকুয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফ চাল বিতরণের তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::
আপডেট: বুধবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৪

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভিজিএফ চাল বিতরণের তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে।

এব্যাপারে পাঁচ ইউপি সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগকারী ইউপি সদস্যরা হলেন, আবুল কালাম, আবদুল জলিল, আয়েশা খাতুন, রোজিনা আকতার ও দিলোয়ারা বেগম।

অভিযোগে বলা হয়, চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম গরীব ও অসহায় মানুষের অধিকার আত্মসাৎকারী একজন ব্যক্তি। তিনি ছিন্নমূল মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত টি আর, খাবিখা, ভিজিএফসহ নানা বরাদ্দের চাল নিজের অনুসারীদের বন্টন করে আত্মসাৎ করেন।

এবারের ইদুল ফিতর উপলক্ষে টৈটং ইউনিয়নের অসহায়দের জন্য ১০ কেজি করে ১৩৩০ জনের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে চালগুলো বিতরণের তালিকা তিনি নিজেই তৈরি করেছেন। আমরা পাঁচজনের কারো সাথে তিনি সমন্বয় করেননি। এতে সত্যিকার অর্থে গরীব অসহায় লোকজন তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এছাড়া ভিজিএফ চাল বিতরণের তালিকায় দলীয় কোটা উল্লেখ পূর্বক নিজের মতো করে ৪৫০ জনের তালিকা করার অভিযোগ করেন ইউপি সদস্যরা।

১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল জলিল বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মীদের নাম দিয়ে বরাদ্দের অর্ধেক চাল চেয়ারম্যান নিজের করে নিচ্ছেন। দলের নাম ভাঙিয়ে গরীবদের চাল বিতরণের তালিকা তৈরির এ সিস্টেম বাংলাদেশের কোথাও হয়েছে কিনা আমি জানিনা। মুলত আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে চেয়ারম্যান গরীবদের এ চাল আত্মসাতের পাঁয়তারা করছে।

এব্যাপারে চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরূ জানান, তালিকা তৈরিতে অনিয়ম হয়নি। সত্যিকার অর্থের অসহায়দের চালগুলো দেওয়া হচ্ছে। তালিকা তৈরিতে দলের কর্মীদের জন্য অগ্রাধিকার দেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, দেশ এখন আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগের কর্মীরা চাল পাবে না তো কে পাবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, টৈটং ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণের তালিকায় অনিয়মের অভিযোগে একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দুইপক্ষকে আমি ডেকেছিলাম।

তালিকা তৈরির রেজুলেশনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ অধিকাংশ ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর দেখলাম। সেক্ষেত্রে তৈরিকৃত তালিকা আপাতদৃষ্টিতে নিয়ম মাফিক মনে হচ্ছে। অভিযোগ যেহেতু ওঠেছে ব্যাপারটি আমি আরও সূক্ষ্মভাবে তদন্ত করবো।

দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য আলাদা কোটার ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও সাইফুল ইসলাম আরও জানান, অসহায়দের চাল বিতরণে এমন কোন নিয়ম নেই। যদি চেয়ারম্যান সাহেব এটা করে থাকেন তাহলে এটি অবশ্যই নিয়মবহির্ভূত।

উল্লেখ্য ২০২০ সালে অসহায় গরীবদের ১৫ মে. টন চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছিলো চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে। দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়া সে ঘটনায় তিনি চেয়ারম্যান পদ থেকেও বরখাস্ত হয়েছিলেন।
###


আরো খবর: