কলম্বো, ১২ এপ্রিল – অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা; নির্বাচন আয়োজনের মতো তহবিলও নেই। ফলে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে দেশটির স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো স্থগিত হলো এ নির্বাচন। ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে এরই মধ্যে আইএমএফসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছে দেশটি। তবে কোনো কিছুতেই যেন সুরাহা মিলছে না।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, আগামী ৯ মার্চ শ্রীলঙ্কায় সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। সরকার জানিয়েছে, আপাতত স্থগিত রাখা হচ্ছে এই নির্বাচন। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, যে পরিমাণ ডলার মজুত রয়েছে তা শুধু জরুরি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে।
শ্রীলঙ্কা সরকার জানিয়েছে, এই মুহূর্তে নির্বাচন আয়োজন করার আর্থিক সামর্থ্য নেই দেশের। তবে আগামী ৩ মার্চ নতুন করে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হবে। এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিরোধী দলগুলো।
প্রধান বিরোধী দল সমাগি জন বালওয়াগেয়ার বলেছে, ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনের জন্য আর্থিক বরাদ্দ খারিজ করছে সরকার। কারণ এই নির্বাচনে শাসক দলের পরাজয় অনিবার্য।
বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, দেশের শীর্ষ কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করছেন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে।
নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভ করেছে শত শত মানুষ। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। এতে আহত হন বেশ কয়েকজন।
গত বছর মার্চ মাসে শ্রীলঙ্কার এই স্থানীয় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। মোট ৩৪০টি আসনে জনপ্রতিনিধি বেছে নেয়া হবে এই নির্বাচনে। কিন্তু গত বছরেও আর্থিক দুরাবস্থার কারণেই স্থগিত করে অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হওয়া শ্রীলঙ্কা।
সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/১২ এপ্রিল ২০২৩