কক্সবাজারে সাগরে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ সাইদুল ইসলাম জহির(২৮) নামে এক পর্যটকের মরদেহ তিনদিন পর মহেশখালী চ্যানেল থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার দুপুরে দেড়টার দিকে মহেশখালী চ্যানেলের শাপলাপুর ঘাট থেকে পুলিশ তার মরদেহটি উদ্ধার করেন।
ঘটনাস্থলে থাকা নিহতের ভাই জমির মরদেহটি তার ভাইয়ের বলে শনাক্ত করেন।
গত শুক্রবার দুপুরে পাঁচ বন্ধু কক্সবাজার ভ্রমণে এসে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গোসল করতে নামেন। এসময় নিখোঁজ হয়ে যান জহির। তাকে খুঁজে না পেয়ে বন্ধুরা বিষয়টি ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ড কর্মীদের জানানোর পর তার বন্ধু ও স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজ করতে থাকেন।অবশেষে তিনদিন পর রোববার মহেশখালী থেকে তার মরদেহটি খুঁজে পায়।
নিহত জহির চট্টগ্রামের লোহাগাড়া এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হাই কক্সবাজার থেকে নিখোঁজ পর্যটকের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বজনদের কোন অভিযোগ না থাকলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। অন্যথায় ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
ঘটনার সময় সুগন্ধা পয়েন্টে দায়িত্বরত লাইফগার্ড কর্মী মো. শুক্কুর জানিয়েছিলেন, শুক্রবার দুপুরে ভাটার সময় সাগরে বেশ স্রোত ছিল। এসময় প্রচুর পর্যটক সাগরে গোসল করছিল। তবে জহিরের ভেসে যাওয়ার ঘটনাটি কারো চোখে পড়েনি। ফলে উদ্ধার তৎপরতা চালানো যায়নি। বিকালে নিখোঁজের বিষয়টি তাদের জানানো হয়েছিল।
নিখোঁজ পর্যটকের বন্ধু সাকিব জানান, তারা পাঁচ বন্ধু গত শুত্রবার সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থেকে কক্সবাজারে পৌঁছেন। এরপর সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দুটি কিটকট চেয়ার ভাড়া নেন। পরে সবাই সাগরে গোসল করতে নামেন।
খালাতো ভাই শামসুল ও জহির এক সাথে সাগরে নামেন। শামসুল গভীর পানিতে নেমে গেলেও জহির সাঁতার না জানায় সে পেছনে কোমর পানিতে ছিল। এর ঘন্টাখানেক পর থেকে তারা জহিরকে খুঁজে না পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশকে জানান।