[ad_1]
ইসলামাবাদ, ১৬ অক্টোবর – ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী চ্যান্সেলর হতে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তাদের মধ্যে নেই। যদিও তিনি আবেদন করেছিলেন বলে তার দল দাবি করেছিল। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রার্থীরা হংকংয়ের সাবেক গভর্নর ক্রিস প্যাটেনের স্থলাভিষিক্ত হতে চাচ্ছেন, যিনি ২১ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করার পর জুন মাসে পদত্যাগ করেন। ১২২৪ সাল থেকে এই আনুষ্ঠানিক পদটি ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে।
এদিকে ক্রিস প্যাটেনের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য লড়ছেন বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব, যাদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক কনজারভেটিভ পার্টি নেতা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ, লেবার পার্টির সাবেক ইইউ বাণিজ্য কমিশনার পিটার ম্যান্ডেলসন ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ডমিনিক গ্রিভ।
অন্যদিকে ৮০০ বছরের মধ্যে প্রথম নারী চ্যান্সেলর হওয়ার আশায় প্রার্থী হয়েছেন স্কটিশ আইনজীবী এলিশ অ্যাঞ্জিওলিনি।
তিনি ২০২১ সালে লন্ডনের এক পুলিশ সদস্যর হাতে ৩৩ বছর বয়সী মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ সারা এভারার্ডের ধর্ষণ, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের হাই-প্রফাইল তদন্ত পরিচালনা করেছিলেন। তিনি বর্তমানে অক্সফোর্ডের সেন্ট হিউজ কলেজের প্রিন্সিপাল, যার সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে আছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এবং মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি।
২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকা ইমরান খান এক বছরের বেশি সময় ধরে দুর্নীতি ও সহিংসতা উসকে দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে কারাবন্দি আছেন। তিনি এসব অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন, যা তার ক্ষমতায় ফেরা ঠেকাতে আনা হয়েছে।
ইমরান খান ১৯৭৫ সালে অক্সফোর্ড থেকে দর্শন, রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন।
এরপর তিনি পাকিস্তানের জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হন এবং রাজনীতিতে প্রবেশের আগে এক ক্রিকেটে উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, আবেদনপত্রগুলো চারটি অযোগ্যতার মানদণ্ড অনুযায়ী বিবেচনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এমন ব্যক্তিদের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়, যাদের যুক্তরাজ্যের কর কর্তৃপক্ষ যোগ্য ও উপযুক্ত ব্যক্তি বলে বিবেচনা করে না।
দুটি ভোটপর্ব শেষে নতুন চ্যান্সেলরের নাম ২৫ নভেম্বরের সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে। চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক প্রধানের পদধারী, যিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং প্রচারণা ও উপদেষ্টা কার্যক্রম এবং তহবিল সংগ্রহের কাজও পরিচালনা করেন। নতুন চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম পরিবর্তনের ফলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন।
[ad_2]