তেহরান, ১৮ ফেব্রুয়ারি – ইরানের শত্রুদের নতুন আতঙ্কের নাম শাহেদ-১৩৬ ড্রোন। এ ড্রোন দিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত হামলা চালানো যায়।
হংকং ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এশিয়া টাইমস এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ড্রোনটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, এটি বিস্ফোরক নিয়ে সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে গিয়ে নিজেই বিস্ফোরিত হয়। এতে যুদ্ধের কৌশল হিসেবে প্রতিপক্ষকে দ্রুত চাপে ফেলতে তাদের বিদ্যুৎকেন্দ্র, তেলক্ষেত্র ও গ্যাসক্ষেত্রের মতো স্থাপনাগুলোতে নিখুঁত হামলা চালানো যায়। অথচ আশপাশের কোনো কিছুর ক্ষয়ক্ষতি হয় না। যেমনটা ইউক্রেনে করছে রাশিয়া।
২০১১ সালের দিকে মার্কিন ড্রোনের প্রযুক্তি আপডেট করে নিজস্ব সিমোর্গ ড্রোন তৈরি করেন ইরানের বিজ্ঞানীরা। তখন থেকেই একের পর এক ড্রোনের ভার্সন তৈরি করছে ইরান। এর একটি হল শাহেদ-১২৯। সেটাকে আরও ডেভেলপ শাহেদ-১৩৬-এ রূপান্তর করা হয়। যা বর্তমানে ইরানকে ব্যাপক আলোচনায় ফেলে দিয়েছে। কারণ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে শাহেদ-১৩৬ ড্রোন ব্যবহার করে দেশটিকে বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছে রাশিয়া।
এশিয়া টাইমসের খবরে বলা হয়, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী, লেবাননের হিজবুল্লাহ, ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসলামিক জিহাদ এবং ইরাক ও সিরিয়ার ইরানসমর্থিত যোদ্ধারা ইরানি ড্রোন ব্যবহার করছে।
এ ছাড়া ইরানের ড্রোনের বর্তমান ক্রেতা হচ্ছে আফগানিস্তান, আজারবাইজান, তুর্কমেনিস্তান, কিরগিস্তান ও কাজখস্তানের মতো দেশগুলো। তবে এসব দেশ তুরস্ক ও অন্যান্য দেশের ড্রোনও কিনছে।
খোদ ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট শুক্রবার বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অত্র অঞ্চলের বাইরে নিজের অত্যাধুনিক অস্ত্রের বিস্তার ঘটাচ্ছে ইরান।
তিনি বলেন, ইরান তার ড্রোন এবং প্রিসিশন গাইডেড মিউনিশন (নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম যুদ্ধাস্ত্র) বিক্রির বিষয়ে অন্তত ৫০টি দেশের সঙ্গে আলোচনা করছে।
সূত্র: যুগান্তর
এম ইউ/১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩