ইসির এনআইডি শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৯ সাল থেকে যারা ভোটার হয়েছেন এবং যারা স্মার্টকার্ড পেয়েছেন তাদের ১০ আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো সেগুলো সার্ভারে আপলোড করা হয়নি। তাই সেগুলো সার্ভারে আপলোড করার জন্য নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি মাঠ পর্যায়ে পাঠানো ইসির সহকারী প্রোগ্রামার আমিনুল ইসালমের সই করা এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০১৯ সাল অথবা এর পর স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময় যেসব ভোটারদের ১০ আঙুলের ছাপ ও আইরিশ সংগ্রহ করা হয়েছে তা যদি এখন পর্যন্ত এনআইডির কেন্দ্রীয় সার্ভারে আপলোড না হয়ে থাকে তাহলে সেগুলো আপলোড সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের শেষ সপ্তাহে বা আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে যাবতীয় কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। যার অংশ হিসেবে ভোটারদের ১০ আঙুলের ছাপও সার্ভারে আপলোড করার প্রক্রিয়া চলছে। এক্ষেত্রে ২০১৯ সালের আগে যারা ভোটার হয়েছেন কিন্তু স্মার্টকার্ড নেননি, তাদেরও ১০ আঙুলের ছাপ নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল ইসি। এ লক্ষ্যে দুই লাখ ইভিএম কেনার জন্য সরকারকে আট হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার নতুন একটি প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছিলও সংস্থাটি। তবে আর্থিক সংকট দেখিয়ে আপাতত সরকার তা স্থগিত রাখায় চলমান ইভিএম প্রকল্প থেকেই যথাসম্ভব ভোটগ্রহণের চিন্তা-ভাবনা করছে ইসি। এতে হাতে থাকা দেড় লাখ ইভিএম দিয়ে সর্বোচ্চ ৭০টি আসনের ভোটগ্রহণ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনাররা।
এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলগীর বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই সবার দুই হাতের ১০ আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে। এতে ভোট দেওয়ার সময় আঙুলের ছাপ না মেলার সমস্যা অনেকাংশে কেটে যাবে।
সূত্র: বাংলানিউজ
,