কক্সবাজারের সীমান্তে ফের গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উখিয়া উপজেলার পালংখালী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন।
বিজিবির সংশ্লিষ্টরা ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য না দিলেও গোলাগুলির খবর শুনেছেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে গত বছরের মাঝামাঝিতে শুরু হয়ে অন্তত দুইমাস ধরে মিয়ানমারের ওপার থেকে গোলাগুলি, মর্টার শেল নিক্ষেপ ও হেলিকপ্টারের সীমান্ত লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাতে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে পালংখালীর ধামনখালী সীমান্তে বিজিবির আউটপোস্ট লক্ষ্য করে মিয়ানমার দিক থেকে অতর্কিত গোলাগুলি শুরু হয়। অন্তত ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর্যন্ত চলে গোলাগুলি।
এ ঘটনার ব্যাপারে বিজিবির সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান গফুর।
বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সন্ধ্যায় স্থানীয়দের কাছ থেকে সীমান্ত গোলাগুলির খবর শুনেছেন। তিনি ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দিয়েছেন। বিস্তারিত গণমাধ্যমকর্মীদের পরে জানাবেন।
তবে সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু, কোনার পাড়া, উত্তর পাড়া, বাইশফাঁড়ি ও চাকমা পাড়াসহ উখিয়া এবং টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংর্ঘষ চলে। তিন মাসের মতো এ গোলাগুলি চলার পর কয়েক মাস বন্ধ থাকে।
ওইসব ঘটনার মধ্যে মিয়ানমার দিক থেকে ছোড়া মর্টার শেলসহ বিভিন্ন গোলাবারুদ বাংলাদেশে এসে পড়ে। মিয়ানমারের জেট ফাইটার হেলিকপ্টারও কয়েকবার আকাশসীমা লংঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে ঘুমধুমের কোনার পাড়া সীমান্তের শূন্যরেখার ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা শিশু নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়।
সীমান্তে গোলাগুলির এসব ঘটনায় ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বেশ কয়েকবার তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।