শিরোনাম ::
পেকুয়ায় বজ্রপাতে ২ লবণচাষির মৃত্যু টেকনাফে মাদ্রাসা ছাত্র অপহরণের ঘটনায় মূলহোতাসহ পাঁচজন গ্রেফতার,উদ্ধার শিক্ষার্থী টেকনাফে র‌্যাবের অভিযানে চাঞ্চল্যকর রফিক হত্যা মামলার আসামী ও আরসা সন্ত্রাসী গ্রেফতার উখিয়ার অপরাজিত জনপ্রতিনিধি জাহাঙ্গীর চৌধুরী’র স্বেচ্ছায় পদত্যাগ! ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন টেকনাফে ১০ কৃষক অপহরণ মামলার আসামি অস্ত্রসহ গ্রেফতার চট্টগ্রাম থেকে ‘কক্সবাজার স্পেশাল’ ট্রেন চলবে ২০ মে পর্যন্ত, থামবে ৭ স্টেশনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন পেকুয়ার যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা চকরিয়ায় সাবেক এমপির লোকজনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের উপর হামলা, মোবাইল লুটের অভিযোগ ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাচন থেকে ৩ প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার ‘হ্যারি পটারের স্কুলে’ রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৫
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৪:২৮ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে ৪০ কি.মি পথে বসেছে রেল লাইন

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২

দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে রেল লাইন প্রকল্পের কাজ। গেল জুন পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে ৭২ শতাংশ কাজ। বাকি ২৮ শতাংশ কাজ শেষ হলে আগামী বছরের জুনে ঢাকা-চট্টগ্রাম হয়ে রেলে কক্সবাজারে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে ৪০ কিলোমিটার রেল লাইন বসানোর কাজ।

এই ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান জানান, চট্টগ্রামের দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের কাজ দ্রæত শেষ করতে কাজ করছি। যদিও প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত কিন্তু আগামী বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে আমাদের রেল চালাতে হবে। তাই ২০২৩ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারবো বলে আশা রাখছি। এরপর এই রেলপথে ট্রায়াল শুরু হবে। গত জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মোট অগ্রগতি ৭২ শতাংশ। বাকি ২৮ শতাংশ কাজ শেষ হলে আগামী বছরের জুনে ঢাকা-চট্টগ্রাম হয়ে ট্রেনে কক্সবাজারে যাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে মোট ৪০ কিলোমিটার রেল লাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। কক্সবাজার অংশের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে ৩৫ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম অংশে ৫ কিলোমিটার রেল লাইন স্থাপন করা হয়েছে। কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও, চকরিয়া, হারবাং এবং রামু এলাকায় ৩৫ কিলোমিটার রেল লাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৬০ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের পাশাপাশি চলছে সিগন্যালিং তার টানার কাজ। মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে ৮৫ শতাংশ। ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে মেজর ও মাইনর ব্রিজ এবং কালভার্টগুলোর কাজ।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, চকরিয়া থেকে কক্সবাজার অংশে ২০টি সেতুর মধ্যে ১৮টির কাজ শেষ হয়েছে। বসানো শেষ হয়েছে রেল লাইন। দোহাজারী-চকরিয়া অংশে ১৯টি সেতুর মধ্যে সাঙ্গু নদীর উপর একটি, মাতামুহুরী নদীর উপর দুটি এবং বাঁকখালী নদীর উপর একটি বড় রেলসেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বাকিগুলোর নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনটি দৃশ্যমান হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে। বাকি ৮টি স্টেশনের মধ্যে বেশ কয়েকটি শেষের দিকে। এর মধ্যে ডুলাহাজারা রেল স্টেশনের কাজ শেষের দিকে। দোহাজারী, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ঈদগাঁও এবং কক্সবাজার রেল স্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে। শুরু হয়েছে সাতকানিয়া এবং রামুতে রেল স্টেশন নির্মাণের কাজও। সব মিলে ৪০ কিলোমিটার পথে রেল লাইন বসেছে।

এদিকে চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেল লাইন নির্মাণের কাজের অগ্রগতির সাথে সাথে এই রুটে রেল চলাচলের জন্যও রেল কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি শুরু করেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেনের পাশাপাশি বিভিন্ন রুটে চলাচলের জন্য দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ১৫০টি নতুন মিটারগেজ কোচ আমদানি করা হচ্ছে।

এজন্য বহুল প্রতীক্ষিত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে পর্যটক বান্ধব নতুন ট্রেনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে কক্সবাজার রুটে সরাসরি ঢাকা থেকে এবং চট্টগ্রাম থেকে পর্যটকবাহী নতুন ট্রেনের জন্য আধুনিক উচ্চগতির কোচ আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে এবং আগামী অর্থ বছরে এই কোচ দেশে আসবে বলে জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস. এম. সলিমুল্লাহ বাহার। তিনি বলেন, আমাদের নতুন আরও ১৫০টি মিটারগেজ কোচ আসছে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে। নতুন কোচ দিয়ে কক্সবাজার রুটে নতুন ট্রেন চালানো হবে।

রেলওয়ের প্রকল্প সংক্রান্ত নথি অনুসারে, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এতে ঋণ সহায়তা দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি।

২০১৮ সালের জুলাইয়ে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড প্রথম দুই ভাগে কাজটি করছে।


আরো খবর: