বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

কোরবানীর হাটে রোহিঙ্গা ক্রেতাদের দাপট

বাংলা ট্রিবিউন
আপডেট: শনিবার, ২ জুলাই, ২০২২

বাংলা ট্রিবিউন:
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের কোরবানীর পশুর হাটে বেচাবিক্রী শুরু হয়েছে। উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার হাট গুলো ঘুরে দেখাযায় অধিকাংশ গরু কিনে নিয়েযাচ্ছেন রোহিঙ্গা। নিজেদের টাকায় কোরবানীর জন্য। রোহিঙ্গারা বাজার থেকে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের মাঝে গরু বিক্রীর জন্য ক্যাম্পের আশেপেশে কোরবানীর পশুর অস্থায়ী হাট বসেছে। রোহিঙ্গারা হাটের সব গরু কিনে নিয়ে যাওয়ায় এইবার উখিয়া-টেকনাফের মানুষের কোরবানীর পশু সংকটের আশংখা রয়েছে।

শনিবার উখিয়ার দারোগা বাজারে গিয়ে দেখা যায় গরু বাজারে শত শত গরু বিক্রী হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্রেতাই রোহিঙ্গা। আব্দুল করিম নামের এক বিক্রেতা জানিয়েছেন তিনি উখিয়ার টাইপালং এলাকা থেকে একটি গরু নিয়ে এসেছিলেন, সেটি ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় লম্বাশিয়া ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গার কাছে বিক্রী করেছেন।

ছগির আহম্মদ নামের আরেক বিক্রেতা জানিয়েছেন, ঘরের দুটি গরু হাটর এনেছিলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পর কয়েকজন ২ লাখ ৫ হাজার টাকায় গরু দুটি কিনে নিয়ে গেছেন।

উখিয়া দারোগাবাজার কোরবানীর হাটের ইজারাদার জানিয়েছেন কোরবানীর হাটে পশু বেচা বিক্রী জমে উঠেছে। ক্রেতা কে বাংলাদেশি আর কে রোহিঙ্গা তা বোঝা মুশকিল।

উখিয়ার মরিচ্যাবাজারে পশুর হাটেও বুধবার কোরবানী জন্য প্রচুর গরু-মহিষ বিক্রী হয়েছে। অধিকাংশ গরু রোহিঙ্গারা কিনে নিয়েগেছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে কোরবানীকে সামনে রেখে উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী ও থাইংখালীকে কয়েকটি অস্থায়ী কোরবানীর হাট বসানো হয়েছে। স্থানিয় প্রভাবশালীরা রোহিঙ্গাদের মাঝে গরু বিক্রীর জন্য এইসব হাট বসিয়েছেন।

অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি উখিয়ার সভাপতি শরিফ আজাদ জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় মানুষ মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এনে ব্যবসাকরে অনেক টাকার মালিক হয়েগেছেন। তাই তারা নিজের টাকায় কোরবানী দিতে শুরু করেছেন। রোহিঙ্গার এখন আর কোরবানীতে ত্রানের মাংসের জন্য বসে থাকেনা।

উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী জানিয়েছেন, রোহিঙ্গারা ব্যাক্তিগত ভাবে কোরবানীর দেয়ার জন্য যেইভাবে বাজার থেকে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন, তাতে করে স্থানিয়দের মাঝে কোরবানীর গরুর সংকটের সৃষ্টি হবে।

উখিয়ার ফালংখালী ইউনিয়ন পরিষদেন চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, কয়েকজন প্রভাবশালী রোহিঙ্গাদের মাঝে গরু বিক্রীর জন্য থাইংখালী ও বালুখালী ক্যাম্পের পাশে অস্থায়ী কোরবানীর হাট বসিয়েছেন। এই হাট গুলোর কোন বৈধ অনুমোদন নেই। হাট থেকে ইজারার নামে চাঁদাবাজি করছে প্রভাবশালীরা।


আরো খবর: