সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০০ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

টেকনাফের পুতিয়া ডাকাত অস্ত্রসহ গ্রেফতার!

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ২৮ জুন, ২০২২

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া বাজার এলাকায় র‌্যাব-১৫ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ১টি বিদেশী পিস্তল, ২রাউন্ড গুলি ও ১টি ম্যাগাজিনসহ কুখ্যাত পুতিয়া ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার ও সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মোঃ বিল্লাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান,কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, সোমবার রাতে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী অপরাধমূলক কর্মকান্ড করার উদ্দেশ্যে টেকনাফ থানাধীন হ্নীলা ইউপিস্থ জাদিমুড়া বাজার সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২৬ জুন বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে রোহিঙ্গা সৈয়দ হোসেন প্রকাশ পুতিয়া (২৪) পিতা-মৃত আবুল হোসেন প্রকাশ ধইল্যা হাজী, মাতা-আম্বিয়া খাতুন, সাং-নয়াপাড়া (মোচনী ক্যাম্প), ব্লক-আই, থানা-টেকনাফ কে গ্রেফতার করতে হয়েছে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করে ১টি বিদেশী পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি ও ১টি ম্যাগাজিন পাওয়া যায়।

গ্রেফতারকৃত সৈয়দ হোসাইন প্রকাশ পুতিয়া টেকনাফ এলাকায় পুতিয়া ডাকাত নামে পরিচিত। সে টেকনাফ এলাকার কুখ্যাত স্বশস্ত্র ডাকাত। গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে কুখ্যাত জকির ডাকাত নিহত হওয়ার পর জকির বাহিনীর অন্যান্য পলাতক অপরাধীদের নিয়ে পুতিয়া বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। তন্মধ্যে অপহরণ, ধর্ষণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজিতে অন্যতম। সে একজন রোহিঙ্গা হিসেবে গোপনে সীমান্ত পার হয়ে মায়ানমারের সন্ত্রাসী গ্রুপ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে রোহিঙ্গা ও বাঙ্গালীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে মর্মে জানা যায়। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে দেশীয় অস্ত্রের যোগানদাতা এবং ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, ডাকাতি ইত্যাদির ন্যায় জঘন্যতম অপরাধসমূহ সংঘটনের পরও পুতিয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে কোনদিন গ্রেফতার হয়নি। সে সুকৌশলে গ্রেফতার এড়িয়ে এসকল অপরাধ করে যাচ্ছিল।
সৈয়দ হোসাইন প্রকাশ পুতিয়া এর বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় বিভিন্ন সময় অস্ত্র, অপহরণ, চাঁদাবাজি, মারামারি, গুরুতর জখম, হত্যা ও হত্যা চেষ্টাসহ ৭টি মামলা রয়েছে।

তিনি আরো জানান,গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সিবিএন২৪


আরো খবর: