সিলেট কুমারগাঁও গ্রিড উপকেন্দ্রে বন্যার পানি উঠে যাওয়ায় পুরো সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শনিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। বিদ্যুৎ বিভাগের সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় জলমগ্ন এলাকাগুলোতে নৌকার জন্য হাহাকার দেখা দিয়েছে। নৌকার অভাবে প্লাবিত এলাকার মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে পারছেন না। জলমগ্ন ঘরেই আটকে পড়েছেন তারা।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জের বাসিন্দা নিহাল আহমদ বলেন, “আমার পুরো পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে। কিন্তু তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার মতো কোন নৌকা পাইনি। বাধ্য হয়ে ১৮ হাজার টাকা দিয়ে একটি ডিঙি নৌকা কিনেছি। অন্য সময় এগুলো তিন হাজার টাকায় পাওয়া যায়।এই সুযোগে নৌকাচালকরা ভাড়া অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে, নগরে পানি আরও বেড়েছে। নগরের অনেক বাসাবাড়ির ভেতরে কোমর পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। শনিবারও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। নামছে ঢলও।
নগরের ঘাসিটুলা এলাকায় বাসিন্দা ছামির মাহমুদ বলেন, “আমার বাসার বিছানার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। দ্রুত পানি বাড়ছে। বাধ্য হয়ে তাই পরিবার নিয়ে আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়েছি।”
এছাড়া কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বেশিরভাগ সড়কই তলিয়ে গেছে। পানি ঢুকে পড়েছে জেলার সবগুলো উপজেলা ও নগরের বেশিরভাগ এলাকায়।
ঢল না থামলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপ সহকারি প্রকৌশলী নিলয় পাশা। তিনি বলেন, “শুক্রবার রাতে বৃষ্টি না হওয়ায় সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমেছে। তবে সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় আবার বাড়ছে পানি। আর কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।”
এদিকে, বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে শনিবার থেকে কাজ শুরু করেছে নৌবাহিনী। এর আগে, শুক্রবার থেকে মাঠে নামে সেনাবাহিনী। তারা কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও কানাইঘাটে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।