বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

বিচারপ্রার্থীকে মারপিটের অভিযোগে চকরিয়া পৌর কাউন্সিলর ফোরকানের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০২২

চকরিয়া পৌরসভার নারী কাউন্সিলর ফারহানা ইয়াছমিন ফোরকান
নিজস্ব প্রতিবেদক,চকরিয়া
শালিস বিচারের কথা বলে পৌর কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে এক নারী বিচারপ্রার্থীকে মারপিট করার অভিযোগে চকরিয়া পৌরসভার নারী কাউন্সিলর ফারহানা ইয়াছমিন ফোরকানের (৩৮) বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। মারধরের শিকার নারী চকরিয়া পৌরসভার কাহাররিয়াঘোনা গ্রামের বাসিন্দা হামিদা বেগম বাদি হয়ে সোমবার ১৩ জুন চকরিয়া থানায় মামলাটি (নং ২৫,জিআর ২৯৮/২২) রুজু করেছেন। মামলার এজাহারে কাউন্সিলর ফোরকান ছাড়াও তাঁর স্বামী মোস্তাফা মিল্টন, সহযোগি পারভীন আক্তার নামের দুইজনের নাম উল্লেখ এবং ৩/৪জনকে আসামী করা হয়েছে।
এজাহারে বাদি হামিদা বেগম বলেন, মামলার ২নং আসামী পারভিন আক্তারের মালিকানাধীন চকরিয়া পৌরসভার কাহারিয়াঘোনাস্থ বাসায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন তিনি (বাদী)। এ সুযোগে বাড়ি মালিকের ছেলে মোঃ জিদান ভাড়াটিয়ার (বাদি হামিদা) ৪বছর বয়সী নাবালিকা মেয়েকে ফুসলিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।
এঘটনায় হামিদা বেগম বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি জি.আর মামলা (নং- ৪৫৭/২১ইং) দায়ের করেন। এঘটনায় পুলিশ ধর্ষক জিদানকে গ্রেফতার করে।
ভুক্তভোগী নারী হামিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, শিশু ধষর্ণের মামলা পরবর্তী অভিযুক্ত ধর্ষকের মা (বাড়ির মালিক) পারভিন আক্তার আমার উপর ক্ষিপ্ত হন এবং মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি দিতে থাকেন। এরই মধ্যে আমি ভাড়া বাসা থেকে মালামাল নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে চাইলে স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলর ফোরকানকে নিয়ে বাড়ির মালিক পারভীন আমার মালামাল আটকে দেয়।
এ ঘটনার পর আমি ভাড়া বাসায় থাকা আমার মালামাল উদ্ধারে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি এম.আর মামলা (নং- ১৬৫/২১) দায়ের করি। এরই প্রেক্ষিতে আদালত মালামাল সমূহ আমাকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য চকরিয়া থানাকে নির্দেশ দেন। পুলিশ মালামাল উদ্ধার করতে গেলে কাউন্সিলর ফোরকান মালামাল হস্তান্তর করতে না দিয়ে পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়ে যান।
ভুক্তভোগী হামিদা বেগম অভিযোগ তুলে বলেন, পৌরসভা কার্যালয়ে আমার মালামাল সমুহ নিয়ে যাওয়ার পর কাউন্সিলর ফোরকান আমার কাছ থেকে ৩০হাজার টাকা দাবী করলে, নিরুপায় হয়ে ধার-কর্জ করে তাকে ৫হাজার টাকা দিই।
এরপর গত ৭জুন’২২ইং বিকালে চকরিয়া পৌরসভার কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বার থেকে ফোন করে মালামাল ফেরত ও বিচারের কথা বলে আমাকে পৌরসভায় ডেকে নিয়ে যান। ওই সময় কাউন্সিলর ফোরকান আদালতে বিচারাধীন ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য আমাকে প্রথমে চাপ দেন। তাতে রাজি না হলে গালি-গালাজ করেন। ওইসময় ঘটনার একপর্যায়ে আমাকে গলা টিপে হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যাপক মারপিট করেন।
মামলার এজাহারে বাদি হামিদা বেগম দাবি করেন, পৌর কার্যালয়ে মারপিটের সময় আমার কাছ থেকে একটি এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, নগদ ১০হাজার টাকা ও মোবাইল সেট লুটে নেয়। ওই সময় আমার চারবছর বয়সের শিশু মেয়ে কাসমি জন্নাতকেও মারধর করে অপহরণের চেষ্টা করা হয়। পরে ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত লোকজন এগিয়ে গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, হামিদা বেগম নামের ওই নারীর দেয়া একটি অভিযোগ ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. জুয়েল ইসলামের মাধ্যমে তদন্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়ায় হামিদা বেগমের অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। তিনি বলেন, এজাহারনামীয় আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চলছে। ##


আরো খবর: