গাজী মোহাম্মদ আবু তাহের মহেশখালী::
বড় মহেশখালী ও কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২২ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সাথে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা ও আচরণবিধি বিষয়ক মত বিনিময় সভা ৩১ মে সকালে মহেশখালী পৌরসভা অহনা কনভেনশন হল রুমে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার বিমলেন্দু কিশোর পাল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার সাহাদাত হোসাইন।
বড় মহেশখালী ও কালারমারছড়া ইউপিতে আগামী ১৫ জুন ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২৭ মে প্রার্থীগণ স্ব-স্ব পদে প্রতীক বরাদ্দর পর থেকে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচনী এলাকায়।
বিশেষ আইনশৃঙ্খলা ও আচরণবিধি বিষয়ক মতবিনিময় সভা উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান,কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম, মহেশখালী কুতুবদিয়া (সার্কেলের) সহকারী পুলিশ সুপার আবু তাহের ফারুকী,র্যাব-১৫ এর উপ- সহকারী পরিচালক মোঃ ইয়াছিন মিয়া, মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হাই (পিপিএম) বড় মহেশখালী ও কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সহ ১৯৩ জন প্রার্থী ও সাংবাদিকবৃন্দ।
সভায় প্রার্থীদেরকে উন্মুক্ত আলোচনার সুযোগ দেওয়া হয় যার ফলে দুই ইউপির সকল প্রার্থীরা তাদের নিজেদের অবস্থান এবং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্গনের মুখোমুখি অভিযোগ দেওয়ার সুযোগ হয়।
পদের প্রার্থীদের কাছ থেকে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে উপস্থিত সকল পদের প্রার্থীদের উদ্যেশ্যে নির্বাচনী আচরনবিধি মেনে চলার জন্য এবং নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনামুলক বক্তব্য রাখেন-উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়াছিন।
সভাপতির বক্তব্যে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াছিন বলেন, বড় মহেশখালী ও কালারমারছড়া ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠানে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। যে সমস্ত প্রার্থী দেওয়ালে পোষ্টার লাগিয়েছেন তা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তুলে ফেলার নির্দেশ দেন।
তিনি আরও বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট ঘোষনা হচ্ছে নির্বাচনে কোন ধরনের কারচুপির সুযোগ নেই এবং জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রার্থীদেরকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। এক প্রার্থী আরেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে গুজব ছড়ালে, হামলা করলে তা কোনমতেই বরদাস্থ করা হবে না কোন প্রার্থী যদি পেশি শক্তি ব্যাবহার করে নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্গন করে তবে তার বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃরফিকুল ইসলাম বলেন, আগামী ১৫ জুন মহেশখালীর দুই ইউপি নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে দ্রুত সময়ে মধ্যে অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার জন্য মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কে নির্দেশ দেন।কোন প্রার্থী যদি তাদের নির্বাচনী প্রচার – প্রচারণায় আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘঠায় তবে সে যেই হোক না কেন তাকে সংশ্লিষ্ট বিধি মোতাবেক আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রার্থীদের উদ্দ্যেশ্যে মহেশখালী নির্বাচন অফিসার এবং কালারমারছাড়া ও বড় মহেশখালী ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার বিমলেন্দু কিশোর পাল বলেন-
আগামী ১৫ জুন মহেশখালী উপজেলার দুই ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচন অফিস।
তারই ধারাবাহিকতায় যে সমস্ত প্রার্থী তাদের নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্গন করেছেন তাদেরকে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা সহ জরিমানা করা হচ্ছে।
১৫ জুন ভোট গ্রহনের আগে বা পরে যদি কোন প্রার্থী নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্গন সহ অপ্রিতিকর কোন কর্মকান্ড সংগঠিত করলে, তবে সে দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা যায়-
গত ২৭ মে প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় শোডাউন করে যাওয়ার সময় এবং যাওয়ার পরে আচরণবিধি লঙ্গনের দায়ে ঠিক তার পরেরদিন দুই ইউপির পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্গনের দায়ে শোকজ করা হয়।
আজ ৩১মে সকল পদের প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভার পরপরই নির্বাচনী এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেতৃত্বে নির্বাচনী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এতে বড় মহেশখালী ইউপির সাধারন সদস্য পদ ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থী সহ মোট ৬ জনকে
১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং এই অভিযান নির্বাচন পর্যন্ত চলমান থালবে।