বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

পরিচয় গোপন করে ভোটার হতে মরিয়া রোহিঙ্গারা!

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কক্সবাজারে চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদে কতিপয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় আশ্রিত রোহিঙ্গারা ভোটার হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাদের ভোটার করতে দেওয়া হচ্ছে ভুয়া জাতীয়তা সনদ ও জন্মসনদ। মোটা অংকের বিনিময়ে অনেক বাংলাদেশি নাগরিক রোহিঙ্গাদের মা-বাবা সেজে ভোটার হওয়ার জন্য সহযোগিতা করছেন।

যেখানে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশী নাগরিক ভোটার হতে হিমশিমে পড়ছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে ভোগান্তি পোহায় দিনের পর দিন, সেখানে কিভাবে রোহিঙ্গারা ভোটার হচ্ছে? তা ভাবিয়ে তুলেছে কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের। রোহিঙ্গাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি উঠেছে।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অনেক রোহিঙ্গা তরুণ-যুবক বাংলাদেশি পরিবার থেকে মা-বাবা ভাড়া করে আনছে। আত্মীয় ভাড়া করে আনছে। বাংলাদেশিরা এসে সন্তান পরিচয় দিয়ে ভোটার করার জন্য চাপ দিচ্ছে। আর এদের পেছনে আছেন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বাররা।

তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে কক্সবাজার সদর নির্বাচন অফিসে ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য ছবি তুলতে গিয়ে আবদুল মানিক নামক একজন রোহিঙ্গার আবেদন ফরম (নং- ১১০১৫৫০৮৬, ভোটার এলাকা- ১০৮৭) জব্দ করেছেন সদর নির্বাচন অফিসার শিমুল শর্মা। যদিওবা সে নূর হোসেন নামে ফরমটি পূরণ করেছে।

নির্বাচন অফিসার শিমুল শর্মা জানান, অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ফরমটি জব্দ করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে, জনপ্রতিনিধিসহ প্রয়োজনীয় সবার স্বাক্ষর ও এতোগুলো কাগজপত্র কিভাবে জোগাড় করল, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এ কর্মকর্তা।

অভিযুক্ত মানিক কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ৬ নং ওয়ার্ডের ভিলেজার পাড়ার বাসিন্দা মরহুম শামসুল আলমের ছেলে। পেশায় সিএনজি চালক। তার পরিবারের পাঁচ ভাই ১ বোনের সবাই রোহিঙ্গা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাব উদ্দিন বলেন, স্মার্ট কার্ড বা আইডি কার্ডসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ছাড়া আমরা স্বাক্ষর করি না। রোহিঙ্গাদের ভোটার হতে সহায়তা করার প্রশ্নই আসে না। কেউ জালিয়াতি করে থাকলে শাস্তি হওয়া দরকার।
ইসলামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, রোহিঙ্গাদের ভোটার হতে কেউ সহায়তা করলে অবশ্যই শাস্তি হওয়া দরকার।

কক্সবাজার রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির নেতা মাহবুবুর রহমান জানান, কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অবাধে রোহিঙ্গা বের হয়ে যাচ্ছে। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে যা দেশের স্বাধীনতা সার্বভোমত্বের জন্য উদ্বেগ জনক। এছাড়া হালনাগাদ ভোটার কার্যক্রমে অনেক এনআইডিধারী পুরাতন রোহিঙ্গার ছেলেমেয়ে অবাধে ভোটার হয়ে বাংলাদেশী নাগরিক হয়ে হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, অনেক নতুন রোহিঙ্গা নাম পরিচয় গোপন করে কিছু ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সহায়তায় ভোটার তালিকায় নাম উঠানোর অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাই দ্রæত এসব বিষয়ে সরকারের আরও সতর্কতার সাথে নজর রাখার দাবি জানান। একই সাথে কোন রোহিঙ্গা যাতে ভোটার হতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকার জন্য তিনি আহ্বান জানান।


আরো খবর: