কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধ সম্পদের মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে হাই কোর্ট। একইসঙ্গে ১৫ বছর আগের এ মামলাটি এ বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে আদালত।
রোববার (২২ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চ তা খারিজ করে দিয়েছে।
এর ফলে ওই মামলায় বিচারিক আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে এই মামলায় অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে বদির করা আবেদন গত ১৮ জানুয়ারি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন অপর একটি বেঞ্চ। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন।
২০০৭ সালে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় ক্ষমতাসীন দলের সাবেক সংসদ সদস্য বদির বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
মামলায় ৫৬ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ২৪ জুন আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
দীর্ঘদিন স্থগিত থাকার পর ২০১৭ সালে মামলাটির কার্যক্রম আবার শুরু হয়। পরে এ মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে চট্টগ্রামে বিচারিক আদালতে আবেদন করেন বদি।