মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় আনন্দ উৎসবের দিন ঈদুল ফিতর আজ। গত দুই বছরের ৪ ঈদ করোনা মহামারীর কারণে লকডাউন, শাটডাউন, মুভমেন্ট পাস এসব বিধি নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই কেটেছিলো।
তবে এবার করোনা পরিস্থিতি ভিন্ন। সংক্রমণের হার কমে গেছে। আবদ্ধ জীবন থেকে বের হয়ে মুক্তপ্রাণে জাতি উদযাপন করবে পবিত্র এ দিনটি। চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে আনন্দ, উচ্ছ্বাস আর ভালোবাসা। সাধ ও সাধ্য অনুযায়ী ঘরে ঘরে রান্না হবে পোলাও, কোর্মা, পায়েস, পিঠা পুলি।
সকালে ঈদের নামাজ শেষে চলবে শুভেচ্ছা বিনিময়। শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ দিনেই রমজান মাস শেষ হয়েছে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও এবার ৩০ দিন রোজা পালন শেষে সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছে।
ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলিমদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনেক সংবাদপত্র ও অনলাইন বিশেষ সংখ্যা বের করেছে। সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশনে অনুষ্ঠান প্রচারিত হচ্ছে।
ঈদের আরেক নাম পরম আনন্দ-উৎসব, নতুন জামা-কাপড়। আর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের মিলনমেলা, হৈ-হুল্লোড়, ঘুরে বেড়ানো, খাওয়া-দাওয়া আর আড্ডা। তাই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলো নামবে মানুষের ঢল। এছাড়া সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, ভালোবাসার বন্ধনে সবাইকে নতুন করে আবদ্ধ করাও ঈদের অন্যতম অর্থ।
করোনার ধকল কাটিয়ে এবার ঈদের কেনাকাটায় প্রাণ ফিরে এসেছিল। চাঁদরাত পর্যন্ত দেদারসে কেনাকাটা হয়েছে। তবে এবার পোশাকের দাম বেশি ছিল বলে ক্রেতাদের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন সামগ্রীও বিক্রি হয়েছে।
ঈদে ঢাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মহানগরীতে র্যাব ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।