শিরোনাম ::
কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা নিয়ে মুখ খুললেন সালমান মুরগির বাচ্চায় প্রতিদিন ৯ কোটি টাকা ‘লুট’, খামার বন্ধের হুঁশিয়ারি সংবিধানে উপ-প্রধানমন্ত্রী পদ রাখাসহ আরও যেসব প্রস্তাব বিএনপির কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন রুটে জাহাজ চলবে বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজারে অপহরণ ও ধর্ষন মামলায় পিতাসহ ৩ ভাইয়ের যাবজ্জীবন চকরিয়ার দায়িত্ববার নিয়েছেন নবাগত ইউএনও আতিকুর রহমান, বিদায়ী ইউএনও কক্সবাজারস্থ শরনার্থী কমিশনে চকরিয়ায় সুরাজপুরে সড়কের উপর বন্যহাতির আক্রমণে দুই পথচারী আহত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইওএম-এনরুট কর্মীদের ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন, চাকরিতে পূর্ণবহালসহ চার দফা দাবি যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করবেন বাইডেন ও ম্যাক্রোঁ আন্দোলনে হামলাকারী ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

টেকনাফে ৩দিন ব্যাপী বিহু ও সাংগ্রেং উৎসব শুরু

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: শনিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২২

এম.এ আজিজ রাসেল ::

প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম মেনে প্রতিবছরই ফিরে আসে বিজু, বিহু, বিষু, সাংগ্রাই ও সাংগ্রেং উৎসব। সম্প্রতি শেষ হয়েছে শহরের রাখাইন সম্প্রদায়ের জলকেলি উৎসব। এবার কক্সবাজারের দুর্গম পাহাড়ি জনপদ টেকনাফের হোয়াইক্যং লম্বাঘোনায় শুরু হয়েছে শুভ বিহু ও সাংগ্রেং উৎসব। উৎসবের বর্ণিল আমেজ বিরাজ করছে এখন দুর্গম এই জনপদে।

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আয়োজিত উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবাল।

কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মং এ খেন এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি মংছেন হ্লা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্বাহী সদস্য অংফুতাইন চাকমা। এসময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহিদ ইকবাল বলেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষের বসবাস। এখানে সব জাতি গোষ্ঠীর রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। সরকার চায় এসব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিকশিত হোক। এ জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। একে অপরের ধর্মের প্রতি সবার শ্রদ্ধাবোধ থাকা উচিত। যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরও অটুট হয়।

কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মং এ খেন বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ। বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। সেই সাথে দেশের বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী স্বাধীনভাবে তাদের সংস্কৃতি চর্চা করতে পারছে। কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ তৃণমূল পর্যায়ে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বাস্তবায়ন করছে। এমন আয়োজন ধারাবাহিকভাবে উদযাপন করা হবে।

৩দিন ব্যাপী বিহু ও সাংগ্রেং উৎসব উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা। তারমধ্যে ছিল তঞ্চঙ্গ্যা ও চাকমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, বাঁশ খেলা, বাঁশি বাজানো, খিংখং বাজনা ও খিংখিলি গান। সবশেষে চলে জলকেলি। জলকেলিতে বর্ণিল সাজ—সজ্জা ও ঐতিহ্যের পোশাক পড়ে অংশ নেয় তঞ্চঙ্গ্যা ও চাকমা সম্প্রদায়ের তরুণ—তরুণীরা। বিদায়ী বছরের সব দুঃখ—কষ্ট আর গ্লানি পানিতে ভাসিয়ে দিয়ে নেচে—গেয়ে নতুন বছরে পথচলা শুরু করেছে এখানকার তঞ্চঙ্গ্যা ও চাকমা সম্প্রদায়ের মানুষ। উৎসব ঘিরে আনন্দ—উচ্ছ্বাসে মেতেছে মাতোয়ারা তঞ্চঙ্গ্যা ও চাকমা সম্প্রদায়। ২৪ এপ্রিল এই উৎসবের পর্দা নামবে। সমাপনীতে পুরোদমে জমে উঠবে আয়োজন।


আরো খবর: