নিজস্ব প্রতিবেদক::
উখিয়ায় রাজাপালংয়ে বহু বছরের ভোগ দখলীয় ওয়ারিশীয় সম্পত্তি জবর দখলে বাধা প্রদান করায় ছৈয়দ আকবর ও আলী আকবরের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, আবদুল্লাহ আল ফয়সাল, আবদুল্লাহ আল কায়সার, সাইফুল ইসলাম রুকন ও ইয়াসিন আরফাত।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তা করানো হলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। রবিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৬টায় উপজেলার রাজাপালং ইউপিস্থ উত্তর পুকুরিয়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত সাইফুল ইসলাম রুকন জানান, উখিয়া থানাধীন রাজাপালং মৌজার আর এস খতিয়ান নং- ১৮০, আর এস দাগ নং- ১৩০৪, ২৫০২, ১৩০০, ১৩০১ এবং উখিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের রেজিঃ দলিল নং- ২৬৮৭ মূলে আমার জেঠা আব্দুচ ছালাম (৭৫) এর নামে ক্রয়কৃত বহু বছরের ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে জমি শাসন ওসংরক্ষণ সহ তদারক করে আসছি। জমির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু ছৈয়দ আকবর (৪৫) ও আলী আকবর (৫০) নেতৃত্বে অপরাপর সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগীতায় বর্ণিত জমি জোর দখল করে ঘর নির্মানের পায়তারা করে আমার পরিবারের লোকজনদের বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে আসিতেছিলো। এর সুত্র ধরে তারা ধারালো দা লোহার রড, লোহার শাবল, লাঠি, কাঠের বিটসহ অস্ত্র নিয়ে জমি জোর দখল করে ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা করলে আমরা বাধা প্রদান করি।
ফলে ছৈয়দ আকবর (৪৫),আলী আকবর (৫০), আব্দুল রহিম, মোঃ মোজাফ্ফর (৪০), আব্দুল ফয়েজ (২৮), আব্দুল মোজাহিদ (২৮), ফাতেমা বেগম (৩৬), মোঃ নয়ন (১৯), আব্দুল জব্বর (৪৩), আব্দুর রহিম প্রঃ মনিয়া (৪৪), মনু মিয়া (৫৫), তফুরা বেগম (৪৪), গোলজার বেগম (৪১), সাদিয়া আক্তারসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন একযোগে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ীভাবে মারধর করে আমাদের বুকে, পিঠে, মাথায়, হাতে, পায়ে, কোমরে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। এতে আমি, আবদুল্লাহ আল ফয়সাল ও আবদুল্লাহ আল কায়সার, ইয়াসিন আরফাত গুরুতর আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমাদের উদ্ধার করলে আমরা প্রাণে বেচে যায়। এইসময় হামলাকারীরা আমাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
তিনি আরো বলেন, আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশংকাজনক।। তারা মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। হামলাকারীরা এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী। ইতিপূর্বে স্থানীয় গন্যমান্য লোকজনের উপস্থিতিতে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হইলে স্থানীয় সালিশকারকগণ বর্ণিত ২২ শতক জমিতে বিবাদীদের কোন সত্ত্ব না থাকায় জোর দখল না করার জন্য বলিলেও হামলাকারীরা কারো বিচার সালিশ মানে নাই।
আমরা সন্ত্রাসীদের হামলায় ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে নিরাপত্তা হীনতায় ভোগতেছি। আমরা প্রশাসনের কাছে সুষ্টু বিচার ও নিরাপত্তা দাবী করছি।
উখিয়া থানা সুত্রে জানা যায়, এই ঘটনায় ১৩ জনকে নামীয় ও ৫-৬ জনকে আসামী করে অভিযোগ জমা প্রদান করেছে।