হেলাল উদ্দিন টেকনাফ ::
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ধরে নেওয়ার ২৪ দিন পরও ১৮ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দেয়নি। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)পক্ষ ওই জেলেদের ফেরত চেয়ে একাধিকবার মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু আজও তারা বাংলাদেশি জেলেদের ফেরত দেয়নি। টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ১৫ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করে ফেরার পথে ৪টি নৌকাসহ ১৮ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে যায়।
বিজিপির হাতে আটক জেলেরা হলেন টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার মোহাম্মদ জসিম (২৫), সাইফুল ইসলাম (২৩), মো. ফয়সাল (২৩), আবু তাহের (২২), মো. ইসমাইল (২০), মো. ইসহাক (২৪), আবদুর রহমান (২৪), নুর কালাম (২৬), মো. হোসেন (২২), মোহাম্মদ হাসমত (২৫), মোহাম্মদ আকবর (২৩), নজিম উল্লাহ (১৯), মোহাম্মদ রফিক (২০), মোহাম্মদ সাব্বির (২৫), মোহাম্মদ হেলাল (২৫), রেজাউল করিম (১৮), মোহাম্মদ রমজান (১৬) ও মো. জামাল (২১)।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ২৪ দিন অতিবাহিত হলেও ধরে নিয়ে যাওয়া ১৮ জেলে বর্তমানে কোথায় আছেন, পরিবারগুলো কিছুই জানে না। এ জন্য পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কগ্রস্ত ও দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। তিনি আরও বলেন, এসব পরিবারগুলোর মাছ শিকার করে তাদের ঘরসংসার চললেও বর্তমানে পরিবারগুলোর সদস্যরা দুরবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
এ ব্যাপারে শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়া ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুল গনি বলেন, ওই ১৮ জেলের পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। জেলেদের ফেরত পেতে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন, ঘটনার পর থেকে বিজিপিকে জেলেদের ফেরত দেওয়ার জন্য নানাভাবে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। প্রথমে তারা কোনো ধরনের সাড়া না দিলেও পরে জেলেরা তাদের হেফাজতে রয়েছে বলে স্বীকার করেছে। যত দ্রুত সম্ভব জেলেদের ফেরত দিতে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ৪টি নৌকাসহ ১৮ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানানো হয়েছে।