আসসালামু আলাইকুম।
আমি বিগত বহু বছর ধরে বিএস খতিয়ান নং ৭৯০০, দাগ নং ২০০০৩ এবং খতিয়ান নং ১৬০৫৭-এর আওতায় সচ্ছিদানন্দ সেন গুপ্তের মালিকানাধীন জমি এবং সেখানে অবস্থিত স্থাপনাগুলোর দায়িত্বশীলভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছি।
দুঃখজনকভাবে, আওয়ামী লীগের বিগত শাসন আমলে আমি ও আমার পরিবার নানা ধরনের হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। বিশেষ করে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ করায় আমার বিরুদ্ধে সাইবার অ্যাক্টসহ তিনটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয়।
এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাবেরি এবং মহেশখালী উপজেলার সাবেক আওয়ামী লীগ সভাপতির পুত্র আতাউল্লাহ ও তাঁর গং-এর নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট জমিটি দখলের উদ্দেশ্যে একের পর এক চক্রান্ত করে আসছে।
তারা কখনো রাজনৈতিক ক্যাডার বাহিনী দিয়ে হামলা চালিয়েছে, আবার কখনো দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তার সহায়তায় ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে জমিটি ‘সরকারি বন্দোবস্তি সম্পত্তি’ প্রমাণের চেষ্টা করেছে। আতাউল্লাহ গং-এর এই জাল-জালিয়াতির মূল উদ্দেশ্য ছিল, সৈকতসংলগ্ন এই উচ্চমূল্যের জমিটির প্রকৃত মালিকানা মুছে ফেলে গায়েবিভাবে নিজেদের নামে দখলে নেওয়া।
এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই আমি বারবার হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও সেই পুরনো সিন্ডিকেট এখনো পর্দার আড়ালে সক্রিয় থেকে আমার বিরুদ্ধে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত কয়েকদিন ধরে কিছু সাংবাদিক ভাইকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ওই চক্রটি সচ্ছিদানন্দ সেন গুপ্তের জমি সম্পর্কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে। ফলে আমাকে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বারবার জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হচ্ছে, যদিও আমি যথাযথ কাগজপত্র কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছি।
প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আমাকে ফোন করে। মানসিক চাপে পড়ে কখনো কখনো অনিচ্ছাকৃতভাবে আমার মুখ ফসকে ভুল কথা বেরিয়ে যায়।
গতকালও এমন এক পরিস্থিতিতে আমি অসুস্থ অবস্থায় এক সাংবাদিক ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি। সেলাইন নেওয়ার পর appena বাসায় ফিরে ফোনটি রিসিভ করি সম্মানবশত। কাগজপত্র প্রসঙ্গে আলাপের একপর্যায়ে আমি বলতে চেয়েছিলাম—“৫ আগস্টের পর আমাকে বিএনপি অফিস ভাঙচুরের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।” কিন্তু স্নায়ুচাপে ভুল করে মুখ ফসকে উচ্চারণ হয়ে যায়—“বিএনপি অফিস বানিয়েছি” বা “বেঁধেছি”, যা আদৌ আমার উদ্দেশ্য ছিল না এবং পুরোপুরি অনিচ্ছাকৃত ভুল।
আমি স্পষ্টভাবে জানাতে চাই—বিএনপি অফিস নির্মাণ কিংবা ভাঙচুর—কোনোটির সঙ্গেই আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তি নই; আমি একজন সাধারণ মানুষ এবং একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। আমার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃত মালিকের জমির দেখভাল করা।
এই অনিচ্ছাকৃত ভুল উচ্চারণের জন্য বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ যেকোনো ব্যক্তি কষ্ট পেয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি এবং বিনীতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
আমি আশা করি, আমার এই অবস্থানকে একজন সাধারণ মানুষের অনিচ্ছাকৃত ভুল হিসেবে দেখবেন এবং অসুস্থ বিবেচনায় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে গ্রহণ করবেন।
ধন্যবাদান্তে,
ওবাইদুল হোসেন।