ঢাকা, ১২ মার্চ – ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার পরিবারে সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এছাড়া শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও বোন শেখ রেহানার ১২৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আর এই প্লট জালিয়াতির এ মামলাকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন পলাতক শেখ হাসিনার ছেলে ও তার সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
গত বছর আগস্টে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এটি শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্য ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রথম চার্জশিট।
তবে এ মামলাকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ড. ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনার ছেলে ও তার সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
জয় বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের দুর্নীতি হয়নি। এই বরাদ্দ সব প্রাসঙ্গিক আইন ও বিধিবিধানের সম্পূর্ণ আনুগত্যের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়েছে। এটি কেবলই ইউনূস সরকার কর্তৃক আমাদের পরিবারের সম্মানহানির আরেকটি অপচেষ্টা। এখন পর্যন্ত তারা আমাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি—শুধুমাত্র ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেই চলেছে।’
তিনি বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য ইউনূস সরকার ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে নতুন করে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ব্যবহার করছে, যেখানে বিএনপি-সমর্থিত ব্যক্তিদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নতুন দুদক চেয়ারম্যান, ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন, বিএনপির পরামর্শে নিয়োগপ্রাপ্ত, কারণ তিনি খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন’।
তিনি আরও বলেন, ‘উল্লেখযোগ্য যে, চেয়ারম্যান মোমেনকে আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতির অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি ও সিইও পদ থেকে অপসারণ করে ওএসডি করেছিল এবং পরে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছিল। অতএব, এতটা পক্ষপাতদুষ্ট ও দুর্নীতিগ্রস্ত একজন ব্যক্তির কাছ থেকে ন্যায়বিচারমূলক ও সুষ্ঠু তদন্তের আশা করা অবাস্তব। এটি আরও একবার প্রমাণ করে যে, ইউনূস সরকার মিথ্যা মামলার আশ্রয় নিয়ে বিরোধীদের দমন করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে’।
এই ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা অভিযোগ বাঙালি জাতির কাছে নতুন কিছু নয়। জনগণ জানে, এই অবৈধ সরকার তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে মিথ্যা প্রচারণার আশ্রয় নিচ্ছে। কিন্তু এ ধরনের ষড়যন্ত্র কখনোই সত্যকে ঢেকে রাখতে পারবে না, যোগ করেন জয়।