বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০৭:১৮ অপরাহ্ন
নোটিশ::
কক্সবাজার পোস্ট ডটকমে আপনাকে স্বাগতম..  

জনগণের সমস্যা সমাধানে রাজনীতিবিদদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান

প্রতিবেদকের নাম:
আপডেট: বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫




ঢাকা, ১১ মার্চ – জনগণের সমস্যা সমাধানে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনপডিএম) ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।

তারেক রহমান বলেন, জনগণকে নিয়ে আমরা রাজনীতি করি। সুতরাং, আজকে দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্য নিয়ে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে। রাজনীতিবিদরা কেন এসব বিষয়ে বেশি বেশি ডিবেট করছে না যে, আমি কীভাবে বাজার ব্যবস্থাপনা সাজাব? উৎপাদন কীভাবে বাড়ানো হবে? এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না। জাতির সামনে এসব নিয়েও কথা বলা উচিত।

তিনি বলেন, শুধু সংস্কার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনা হলেই চলবে না। কোনো দল ক্ষমতায় আসলে কীভাবে সমস্যার সমাধান করবে? এসব নিয়ে আলোচনা করতে হবে। আমাদের ভিন্ন-ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে। কিন্তু আমরা গণতন্ত্র ও একটি মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে সবাই ঐকমত্য। যেখানে মানুষের কথা বলার অধিকার থাকবে।

তিনি আরও বলেন, দেশের বহুল আলোচিত বিষয় হচ্ছে সংস্কার। বিশেষ করে আমরা ছোট, বড়, মাঝারি সব রাজনৈতিক দল মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও একটি সুন্দর পরিবেশের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। প্রায় সব দল মিলে জাতির সামনে আড়াই বছর আগে ৩১ দফা প্রণয়ন করেছি। যখন অনেকেই সংস্কারের কথা বলেননি। আমরা স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সংস্কারের কথা বলেছি। আজকে অনেকেই অনেক কথা বলছেন সংস্কার নিয়ে। আমরা স্বাগত জানাই। তবে, রাজনীতির মূল লক্ষ্য হলো জনগণ এবং দেশ। অবশ্যই সংস্কারের প্রয়োজন আছে। এসব নিয়ে আলোচনা থাকবেই।

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক শিক্ষা দিতে হলে একটি শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। এ বিষয়েও ডিবেট বা কর্মপরিকল্পনা থাকা উচিত প্রত্যেকটি দলের। শিক্ষা ব্যবস্থাকে কীভাবে দেখতে চাই, সেটিও সংস্কারের অংশ।

তারেক রহমান বলেন, আমাদেরকে কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। ২০ কোটি মানুষের খাদ্য সংস্থান করা ও চাহিদা মেটাতে হলে এটা করতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেমন খাল খননের মাধ্যমে কৃষক যে জমিতে এক ফসল হতো সেখানে দুইবার ফসল ফলিয়েছেন। যেখানে দুইবার ফসল হতো সেখানে তিনবার ফসল ফলিয়েছেন। বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন। তিনি কৃষকের মেরুদণ্ড ধীরে ধীরে মজবুত করেছিলেন। এটিও তো অনেক বড় সংস্কার।

তিনি বলেন, আমাদেরকে শিল্পন্নোয়নের কথা ভাবতে হবে। কীভাবে উদ্যোক্তাদের নিরাপত্তা দেওয়া যায় সে বিষয়েও চিন্তা করতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। এটাও কিন্তু অনেক বড় সংস্কার।

তিনি আরও বলেন, আমি বহু বছর ধরে দেশের বাইরে। ঢাকা শহরসহ সারাদেশে পরিবেশ দূষণ তীব্রতর হচ্ছে। পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন। আমরা কী রাজনৈতিক দলগুলো এসব নিয়ে প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারি না? কীভাবে উন্নতি ঘটাতে পারি? দূষণ কমাতে পারি। আমি তো মনে করি এই দূষণ কমানোও সংস্কারের অংশ। কারণ, লাখ-লাখ মানুষ দূষণের কারণে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে পারে।

 



আরো খবর: