হেলাল উদ্দিন টেকনাফ::
এলোমেলোভাবে ছোলা, চিনি, পেঁয়াজ, আদা, তেল, মুড়ি ও খেজুরের মূল্যের তালিকা টাঙিয়ে দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তবে দোকানের কর্মচারী ও মালিকের মুখে বলার দামের সঙ্গে টাঙ্গানো মূল্য তালিকার কোনো ধরনের মিল না থাকায় মেসার্স মোহাম্মদ আলী স্টোরকে গুনতে হয়েছে ৫০ হাজার টাকার জরিমানা। ঠিক একইভাবে আরও সাতটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক কর্তৃপক্ষকে ৯৫ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে।
আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার বড় বাজার এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়েছে। এ অভিযানের নেতৃত্ব ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এরফানুল হক চৌধুরী। তাকে সহযোগিতা করেন থানা পুলিশের একটি দল ।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, টেকনাফে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রনে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ আইনে ৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে নিউ ভাই ভাই স্টোরকে ১০ হাজার, মেসার্স আব্দুল্লাহকে ১০ হাজার , নিপুন চৌধুরীকে ৫হাজার , মেসার্স জহিরুল স্টোরকে ১০হাজার, মেসার্স ইসমাইল স্টোরকে ১০হাজার, মেসার্স মোহাম্মদ আলী স্টোরকে ৫০হাজার, মেসার্স তাহের স্টোরকে ২০ হাজার ও মেসার্স সিরাজ স্টোরকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মূল্য তালিকা সংরক্ষণ না করা এবং পণ্যের অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার অভিযোগে এসব জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ অভিযান চলমান থাকবে।
কয়েকজন ক্রেতা বলেন, প্রায় প্রতিটি দোকানে নামে মাত্র একটি মূল্যের তালিকা টানানো হয়েছে। তালিকা সঙ্গে বেচাকেনা করার মালামালের অনেক পার্থক্য রয়েছে। অভিযান থেকে বাঁচার জন্য এই ধরনের মূল্য তালিকা টানানো হয়েছে।