কক্সবাজার বিমানবন্দরের পশ্চিম পাশে বিমানবাহিনীর নির্মাণাধীন ঘাঁটিতে হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গুলিতে এক যুবক নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে কক্সবাজার বিমান ঘাঁটির কাছে পৌরসভার সমিতিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত যুবকের নাম শিহাব কবির নাহিদ (৩০)। তিনি ওই এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে এবং পেশায় ব্যবসায়ী। আহতদের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় একজন নিহত এবং পাঁচ জন চিকিৎসাধীন থাকার তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর হাসপাতাল পুলিশ বক্সের কর্তব্যরত ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম।
সমিতিপাড়ার বাসিন্দারা বলেন, ‘সোমবার দুপুরে বিমানবন্দর সম্প্রসারণে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য এলাকাবাসীকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে বিমান বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে এলাকাবাসীর প্রতিনিধিদের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এজন্য বেলা ১২টার দিকে সমিতিপাড়ার বাসিন্দা মো. জাহিদসহ আরও কয়েকজন ইজিবাইকে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে আসছিলেন। তাদের বহনকারী গাড়িটি ডায়াবেটিক পয়েন্ট এলাকায় বিমান বাহিনীর চেকপোস্টে পৌঁছালে থামানো হয়। সে সময় বিমানবাহিনীর সদস্যরা জাহেদকে গাড়ি থেকে নামতে বললে তাদের মধ্যে তর্ক হয়। পরে জাহেদকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে খবর পেয়ে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে বিমানবাহিনীর ওপর চড়াও হলে সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটে।’
তারা আরও বলেন, ‘সংঘর্ষের একপর্যায়ে বিমানবাহিনীর সদস্যরা এলাকাবাসীকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি করেন। এতে কমপক্ষে ১০-১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পরে স্থানীয়রা কয়েকজনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আরো ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন।’
সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনায় একজন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার সূত্রপাত কীভাবে তা উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমানবাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারসংলগ্ন সমিতিপাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত বিমানবাহিনীর ঘাঁটি ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।