পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::
চাঁদা না দেওয়ায় লবণ মাঠের বিছানো পলিথিন কেটে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা রাজাখালী ইউনিয়নের বদিউদ্দিন পাড়ায় বৃহস্পতিবার গভীররাতে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, চলতি লবণ মৌসুমে প্রায় এক একর জমিতে লবণ উৎপাদন করে আসছিলেন বদি উদ্দিন পাড়ার আব্দু রশিদ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দূর্বৃত্তরা মাঠের পলিথিন কেটে সাবাড় করে। এতে করে ওই লবণ চাষীর প্রায় এক একর জমির লবণ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ধরণের গর্হিত কাজ করেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আব্দু রশিদ বলেন, প্রায় এক একর জমিতে লবণ উৎপাদন করে আসছি। কয়েকদিন আগে বদিউদ্দিন পাড়ার নাজেম উদ্দিনের পুত্র সুজাঙ্গীর আমার কাছে ৬০ হাজার টাকা দাবি করে। আমার ছেলে গোলাম নবীর কাছে সে ৬০ হাজার টাকা পাবে বলছে। কিন্তু টাকা লেনদেনের বিষয়ে তাঁর কোন ডকুমেন্টস নেই। গোলাম নবী মালয়েশিয়া থাকে। ছেলে গোলাম নবীও বলছে সুজাঙ্গীরের সাথে তাঁর কোন ধরণের লেনদেন নেই। এর পরেও টাকা আমার কাছ থেকে জোর করে আদায় করতে চায়। আমাকে মাঠে কাজ না করতে নিষেধ করে। টাকা না দিলে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেয়।
তিনি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার মাঠে কাজ করছিলাম। সুজাঙ্গীর ও তাঁর ভাই রায়হান সকালে মাঠে এসে হাকাবকা করে। তাঁরা চাঁদা দাবী করে। তাদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়েছে। তাঁরা আমাকে শারীরিক হেনস্তা করে। টাকা না দিলে পরিনতি ভালো হবেনা বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। শুক্রবার সকালে মাঠে এসে দেখি সব পলিথিন কেটে দেওয়া হয়েছে। লবণ উৎপাদনের মাঠ পানিতে একাকার হয়ে গেছে। উৎপাদিত লবণ পানিতে মিশে গেছে। আমার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আব্দু রশিদের দাবী চাঁদা না দেওয়ায় সুজাঙ্গীর এ কান্ড ঘটিয়েছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, সুজাঙ্গীর ও রায়হান ডাকু প্রকৃতির। একাধিক মামলার আসামি তাঁরা। এলাকায় তাদের ভয়ে কেউ টু শব্দ করেনা। মানুষের উপর অত্যাচার, জুলুম এটা তাদের জন্য নতুন কিছু না।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা জানান, এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
###